পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় দামুড়হুদা উপজেলার তিন জায়গায় ফ্লাট সোলিংয়ের রাস্তা কাজ চলছে।অতি নিম্মমানের ইট দিয়ে কাজ করায় এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে জনগণের চাপে চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী বকুল আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে আপাতত কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্য করেই চলছে নিম্মমানের ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি কাজ।
এলাকাবাসী থেকে জানাযায়, হেমায়েতপুর গ্রামের ভৈরবের পাশের রাস্তা দিয়ে মাঠের সকল ফসল ঘরে তোলে গ্রামের চাষিরা। বর্ষার সময় কাদার জন্য এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ফ্লাট সোলিংয়ের কাজ শুরু হয়। কাজের প্রথম থেকেই নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করে।গ্রামবাসীর চাপেও কোন কাজ হয়নি কাজ ঠিকিই চালিয়ে যচ্ছে কারো কোন তোয়াক্কা না করে।
এই নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করাই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চাপাক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তাটি ভালোমানের ইট দিয়ে তৈরি হবে এমনটিই আশা করেন এলাকার সাধারণ মানুষের। তাই দুরুত্ব নিম্মমানের ইট তুলে ভালোমানের ইট দিয়ে রাস্তা যাতে তৈরি হয় তার সুব্যবস্থা করবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমটাই দাবি এলাকাবাসির।
হেমায়েতপুর গ্রামের একজন কৃষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন,কাঁচা রাস্তায় ভালো ছিল, এমন ইট দিয়ে রাস্তা করার মানেই হয় না।একেবারে নিম্মমানের ইট। এ ইট একেবারেই নষ্ট। ভালো মানের ইট দিয়ে রাস্তা না হলে সাধারণ মানুষ মানবে না।
উল্লেখ্য থাকে যে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত ৩৮ হাজার ৭ শত ৪ ফুট রাস্তাটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার পাই কুষ্টিয়ার সৈকত এন্টারপ্রাইজ। কুষ্টিয়ার সৈকত এন্টারপ্রাইজ রাস্তার কাজ নির্মাণ করার জন দায়িত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার নাসির মোল্লার। এখন রাস্তা নির্মাণ কাজের দেখভাল করছেন নাসির মোল্লার ছেলে আরিফ শুভ।
আরিফ শুভ বলেন আমরা টাকা দিচ্ছি ১ নং ইটের।ইট তো নিম্নমানের হবার কথা না।কেন এমন হচ্ছে বিষয়টি আমি দেখছি।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী বকুল আহমেদ বলেন, দামুড়হুদা হেয়ামতপুর তিন জায়গায় কাজ হচ্ছে। নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে কাজটি আপাতত বন্ধ রেখেছি।