দামুড়হুদার ছোটদুধপাতিলা গ্রামে থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদ(৫০) নামের এক মাদক সেবনকারীকে আটক করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ডুগডুগির রাজু ও দর্শনার আলিহীম। একই সময় ডুগডুগি মাঠে জুয়া খেলারত জুয়াড়িরাও পালিয়ে যায়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের নির্দেশনায় থানার এসআই আল মামুন, এসআই সোয়াদ বিন মোবারক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ছোটদুধপাতিলা গ্রামের ইটের রাস্তার উপর অবস্থান নেন। এসময় মাঠ থেকে মাদকদ্রব্য সেবনের পর রাস্তার উপর উঠার সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দর্শনা থানাধীন বেগমপুর গ্রামের মৃত ফকির চাঁদ মল্লিকের ছেলে ভূষিমাল ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান আসাদ (৫০)।
পুলিশ তার পিছে পিছে ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলেন। পরে মাদকদ্রব্য সেবনের কথা অকপটে স্বীকার করলে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। পরে মাদকের আলামত সনাক্তকরণে নেওয়া হয় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে রেফার্ড করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানকার কর্মরত চিকিৎসকের মাধ্যমে আসাদুজ্জামান আসাদের ড্রোপ টেস্ট শেষ করে আবারও নেয়া হয় দামুড়হুদা থানায়।
এদিকে, স্থানীয়রা ও নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন জুয়াড়ি বলেছেন, আসাদুজ্জামান আসাদ গতকালই না প্রতিনিয়তই জুয়া খেলতে আসে ডুগডুগি ও ছোটদুধপাতিলা মাঠে। সেখানে জুয়ার আসর বসার আগেই নিয়মিত বসে মাদকের আসর। মাদকদ্রব্য সেবনের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়াড়ীদের আগমনে জমে উঠে জুয়ার আসর। ওই এলাকার জুয়া ও মাদকের আসরের নেতৃত্বদেন ডুগডুগি গ্রামের রাজু, দর্শনার আলিহীম।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছোটদুধপাতিলা গ্রামের ইটের রাস্তার উপর মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এসময় ডুগডুগি মাঠ থেকে মাদকাসক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর থেকে আসাদুজ্জামান আসাদ কে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসে নিয়ে তার ড্রোপ ট্রেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।