দামুড়হুদা উপজেলায় ৩০/৩২ ইটভটা রয়েছে এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইটভাটা বাদে সব ভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এসব ভাটা গুলোতে নামমাত্র লোকদেখানো সামান্য পরিমাণ কয়লা রেখে, কয়লার আড়ালে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।
গতকাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা সদরের অদূরে দেউলি গ্রামের মাঠের মধ্যে, মুক্তারপুর নিউ বোস, কার্পাসডাঙ্গা রায়সা, মুক্তারপুর রেড ও শেক ভাটাসহ বেশ কয়েকটি ভাটায় নামমাত্র কয়লা রেখে সেখানে শুধুমাত্র কাঠের ব্যবহার করা হচ্ছে।
এভাবে ভাটায় কাঠ পোড়ানোর ফলে উজাড় হচ্ছে বনজ সম্পদ। কাঠের কালো ধোয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। একইভাবে বিলুপ্ত হচ্ছে অনেক প্রজাতির পাখি, নষ্ট হচ্ছে মাটির উর্বরা শক্তি। জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় ইট পোড়ানোর মৌসুমে ভাটা থেকে প্রচুর পরিমাণ বিষাক্ত ধোঁয়া বের হয়। এতে আশপাশের জমিতে ধানের আবাদ ও এলাকার ফলদ গাছপালার উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিষয়টি আমার অজানা। আইন লঙ্ঘন করে ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করা হলে ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না।
এ ব্যপারে ইটভাটা মালিকরা বলেন, ভাটায় ইট পোড়ানো সরকারিভাবে নিষিদ্ধ জেনেও কয়লা ও কাঠ দু’টিই ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই কাঠ পোড়ানো বন্ধ করে শুধুমাত্র কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর ব্যবস্থা করবো।