দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে প্রথমে অসহায় সেজে বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে সুকৌশলে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্কুল ছাত্রী হাফসা খাতুনের বিরুদ্ধে।
প্রতারক হাফসা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের মোঃ বিসারত মুন্সী মেয়ে। বয়স ১৪ পেরোয়নি আর ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন বিয়ে মূলত সংসারী হতে নয় মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। হাফসা’র কাছে বিয়ে মানে নাটক ছেলে খেলা।যখন যাকে ভালো লাগবে তাকে নিঃশ্য করতে পারলেই যেনো তার তৃপ্তি মেটে।
হাফসা খাতুন কুড়ুলগাছি দাখিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির স্কুল ছাত্রী ও একক শ্রেণির ছাত্র বিল্লাল হোসেন হাফসা খাতুনকে নিজের বোন মনে করতো বিভিন্ন সময় হাফসা নিজেকে একজন অসহায় বলে বিল্লাল এর কাছে থেকে কলম খাতা কিনার নাম করে টাকা নিতো। বিল্লাল সে নিজের ছটো বোন ভেবে সাহায্য করতো। আর ঠিক তারি দুবলর্তার সুযোগ নিয়ে হাফসা মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে কুড়ুলগাছি মাঠ পাড়া’র জিয়াউর রহমানের ছেলে বিল্লাল হোসেনকে নিজের স্বামী বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসী সূত্র জানা- গেছে হাফসা খাতুনের বিয়ে হয়নি অথচ বিয়ে হয়েছে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে এমন মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে।
এবিষয়ে সাংবাদিকরা হাফসা খাতুনের ছটো চাচা মমিন আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান ছেলে মেয়ে নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে। বিয়ের কথা দুজন এর পরিবারের কেউ জানতো না কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সোনা যাচ্ছে হাফসা খাতুন বয়স ১৪ পেরোয়নি আর এরই মধ্যে বিয়ে করে ফেলেছেন।
এবিষয়ে হাফসা খাতুন এর পিতার সাথে কথা বললে তিনি জানা কুড়ুলগাছি মাঠ পাড়া’র বিল্লাল নামে আমি কাউকে চিনি না আর আমার মেয়ের এখনো বিয়ে হয় নি। বিল্লাল এর সাথে যে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে কথাটা সম্পন্ন মিথ্যা। স্কুল ছাত্রী হাফসা খাতুনের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি যখন ক্লাস সপ্তম শ্রেণীতে লেখা পড়া করি তখন থেকে আমরা দুজন দুজন কে ভালোবাসি এবং নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী শুক্রবার (৩ জানুয়ারি – ২০২০), ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর বিয়ে করেছি এবং বিল্লাল হোসেনকে নিজের স্বামী বলে দাবী করেন। বিয়ের বিষয়ে সাংবাদিকারা কাবিননামা দেখতে চাইলে হাফসা খাতুনের পরিবার তা দেখাতে পারেনি। কারণ বিয়ে যেভাবেই সম্পন্ন হোক না কেন কাবিননামা কিংবা বিয়ের সব দলিল নিজের কাছে রাখা উচিত। কাবিননামা ওপর কাজির সিল স্বাক্ষর আছে কিনা যাচাই করে নিতে হবে এবং কোন কাজির মাধ্যমে বিয়েটি সম্পন্ন হলো তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সত্যতা যাচাই করে নেওয়া ভালো মুসলিম বিয়ে নিবন্ধন বাধ্যতা মূলক এটা স্বামী-স্ত্রী।
এদিকে বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার কোন বোন নাই। তাই আমি হাফসা খাতুনকে আমার নিজের ছটো বোন মনে করতাম। হাফসা আমাকে ভাইয়া বলে ডাকতো আর মাঝে মাঝে আমার কাছে খাতা কলম কিনার জন্য টাকা চাইতো।
আমি হাফসাকে আমার ছটো বোন ছাড়া অন্যকিছু ভাবি নি। বিয়ের কথা টা সম্পন্ন মিথ্যা মূলত কারণ টা হচ্ছে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আমি দিতে রাজি না হওয়া মিথ্যা কথা বলে আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। হাফসা যে এমন মেয়ে তা আমার জানা ছিলো না। আমি সব সময় তাকে বোনের চোখে দেখে এসেছি এর বেশি কিছু না।
এবিষয়ে বিলাল হোসেনের পিতার সাথে কথা বললে তিনি জানান আমার ছেলের উপর মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে। এবং বিভিন্ন সময় নয়মদ্দীন মানে এক ব্যক্তি আমার বাড়ি এসে প্রাণ নেষার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এই হয়রানী থেকে মুক্তি হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রত্যাশা করছেন বিল্লাল হোসেনের পরিবার। বিষয়টা নজর দিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।