দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে পার্শ্ববর্তী মালিক আজাদের সাথে।
স্থানীয়রা জানান, আনুমানিক ১৯৮৬ সালে জগন্নাথপুর মৌজায় ৩৭২৬ দাগে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের আবেদ আলীর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুনের কাছে ২২শতক জমি ক্রয় করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করেন সাবেক শিক্ষক মোঃ শাহাবুদ্দিন। একই দাগে জমির অপর অংশীদার হালিমা খাতুনের জামাই আনন্দবাস গ্রামের আজাদ হোসেন বাড়ী নির্মান করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু স্কুলের প্রাচীর থাকার কারণে তার বাড়ী যাতায়াতের সমস্যা হওয়ায় আজাদ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তার দাবী করেন এবং তার জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)সজল কুমার দাসকে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দামুড়ুহুদা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।
এসময় তিনি উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ মিমাংসা করার জন্য আগামী ৩১জুলাই সোমবার আমিন দিয়ে জমির সীমানা নির্ধারন করার পরামর্শ দেন। মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জমিতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।