দামুড়হুদায় ফল ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা রহস্য ২৪ ঘন্টায় উদঘাটন করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। ঘটনার পরের দিন স্ত্রী মহিমা বেগম (৪০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে নিজেই তার স্বামীকে জবাই করে।
এ ঘটনায় আজ রবিবার সকাল ১১ টায় দর্শনা থানা চত্তরে এ সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এএসপি দামুড়হুদা সার্কেল জাকিয়া সুলতানা।
এ সময় তিনি বলেন হত্যার কাজে ব্যবহৃত উদ্ধার করা হয় ঘরের মধ্যে খাটের নিচ থেকে হাসুয়া। মহিমা বিভিন্ন এনজিও ঝণের টাকা নিয়েই স্ত্রীর বলির শিকার হয় স্বামী বাবর আলী। এই এনজিও ঝণের কারনে স্বামী বাবর আলীর সাথে মাঝে মধ্যে পারিবারিক দন্দ হত। গত বৃহস্পতিবার ৮ মে ঐ দিন সন্ধার দিকে স্বামী বাবর আলীর সাথে বাক বিতন্ড হয়।সেই রাত্রে ধারালো হাসুয়া দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবর আলীকে স্বজোরে গলায় কোপ দেয়।তার চিৎকার শুনে বাড়ি লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মৃত্য হয়। এ ঘটনায় নিহত বাবর আলীর ভাই ছাবের আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করে দর্শনা থানায়।
তবে থানা হেফাজতে নেওয়া তার স্ত্রীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় স্বীকার করেন সে নিজেই খুন করেছে তার স্বামীকে। তার স্বীকারোক্তিতে পুলিশ উদ্ধার করে হত্যা কাজে ব্যবহৃত হাসুয়া।
দর্শনা থানা পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ হত্যার রহস্য উৎঘটন করায় সাবুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসি।উল্লেখ্য, গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত বাবর আলী উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ওসি তদন্ত এস এম আমানউল্লা আমান, দর্শনা থানার ওসি অপারেশন নীরব হোসেন, দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আহম্মেদ বিশ্বাস।