দামুড়হুদায় অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম উদ্বোধন ও লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন । দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের হরিরামপুর শীবনগর গ্রামে কোভিড -১৯ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০ টার সময় শিবনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনসুর বাবু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল খালেক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ, ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কমার সিংহ । স্বাগত বক্তব্য দেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টো, দামুড়হুদার উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ লকডাউনেবাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশে চলা লকডাউনের মধ্যে দামুড়হুদার উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী দুই ইউনিয়নের কিছু এলাকা বিশেষভাবে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ভারতীয় সীমান্তবর্তী হওয়ায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই আশঙ্কা থেকেই বুধবার কিছু এলাকা অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।সেসব এলাকার রাস্তা বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাঁশ ফেলে আটকে দেয়া হয়েছে। অবরুদ্ধ এলাকাগুলো হলো কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা- ঠাকুরপুর সড়ক, কার্পাসডাঙ্গা-কুতুবপুর সড়ক, কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়া সড়ক, তালসারি মোড় এবং নাটুদহ ইউনিয়নের গোচিয়ারপাড়া মোড় ও ফকিরপাড়া মোড়।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল জানান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী হরিরামপুর ও শিবনগর গ্রামে করোনাক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। করোনার উপসর্গ থাকলেও তা পরীক্ষা করায় অনীহা দেখাচ্ছেন অনেকে। তিনি বলেন, ‘গতকাল বুধবার সকাল থেকে ওইসব এলাকার লোকজনকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। তাদের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় আইইডিসিয়ারে পাঠানো হবে।’আবু হেনা আরও বলেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহে করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ বাড়লে পর্যায়ক্রমে আশপাশের অন্য গ্রামের মানুষেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমান জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এই এলাকায় রয়েছে চুল প্রক্রিয়াজাতকরণের অনেকগুলো কারখানা। সেগুলো আগামী এক মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে, ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে করোনার উপসর্গ , এক সপ্তাহের ব্যবধানে চার জনের মৃত্যু হয়েছে, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সচেতন মহল , সাধারণত এসময় করোনার সংক্রমণ হার বেড়েই চলেছে, হাসপাতালগুলোয় ৬০ ভাগ বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি থাকেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠাকাতে এই নাগরিকদের সতর্কভাবে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি। আগামীতে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে করোনার । এ জন্য সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এলাকায় নতুন করে যাতে আক্রান্ত না হয়, আমাদের সবাই কে সজাগ থাকবে হবে গেল সোমবার করোনার সংক্রমণরোধে জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কমিটির সঙ্গে বসে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে কার্পাসডাঙ্গার ওই স্থানগুলো লকডাউন করা হয়েছে।ইউএনও বলেন, ওই এলাকাগুলো নিয়মিত তদারকি করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা হবে জরিমানাও।