দামুড়হুদার পুড়াপাড়ার তাম্মী পোল্ট্রি ফার্মের আলমারী ভেঙ্গে ব্যবসায়ীর ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান হাবীব ও তার সহযোগী জহির কে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হেফাজতে নেয় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাত ১১ টার দিকে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এরা হলো দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার বকুল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবীব ও একই পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে জহির হোসেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শমশের আলী বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের খোদা বক্স শেখের ছেলে শমশের আলী দামুড়হুদা পুড়াপাড়ায় অবস্থিত তাম্মী পোল্ট্রি ফার্মে ভূষি মালের আড়ত করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
অভিযুক্তদের সাথে সখ্যতা থাকার কারনে তারা প্রায় দিন আড়তে আসা যাওয়া করতো। এরই এক পর্যায়ে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্তরা শমশের আলী’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাই। আছরের আজান হলে তাদেরকে অফিসে রেখে শমসের আলী নামাজ পরতে যাই। এসে দেখে কেউ নেই। অফিসের আলমারির তালা ভাঙ্গা ও ড্রয়ার মেঝেতে পরে আছে। ওই ড্রয়ারে নগদ ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা রাখা ছিলো। যা চুরি হয়ে যায়। এসময় শমশের আলীর ডাক চিৎকারে ফার্মের কর্মরত শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
শ্রমিকরা জানায় দামুড়হুদা দশমীপাড়ার বকুল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবীব একই পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে জহির হোসেন ও দামুড়হুদা গার্লস স্কুল পাড়ার খোকন হোসেনের ছেলে কাশেম আলী ঘরে ঢুকেছিল। এরপর হাবিবুর রহমান ও জহির হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনা অস্বীকার করে। উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ২ জনকে হেফাজতে নেয়। পরে বাদী ও বিবাদীদ্বয় এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে নিজেরায় ২ লক্ষ টাকায় আপোষ মিমাংসা করে এবং থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ২ জনকে ছেড়ে দেয়।
উল্লেখ্য হাবিবুর রহমান হাবীব দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভার আহবান করা হয়। সভায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবীব এর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়। টাকা চুরির দায়ে সে দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে টাকা চুরির বিষয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার কারনে তার দ্বারা প্রেসক্লাব সহ সাংবাদিকদের সম্মানহানি হয়েছে। যারফলে উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মোঃ হাবিবুর রহমান হাবীব কে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং সাধারণ সভায় তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে ব্যবসায়ী ও দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি সাংবাদিক শমসের আলী বলেন, আমি হাবীব কে নিজের ছোট ভাই এর মতো ভালোবাসতাম। সে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা আলমারি ভেঙ্গে চুরি করেছে। আমি থানায় লিখত অভিযোগ দিয়েছিলাম। পরে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা হলে থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়।
এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, কারো কোন অভিযোগ না থাকায় তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।