দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৪ নবজাতক দোয়েল কোয়েল ময়না ও টিয়ার মধ্যে টিয়া নামের নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে টিয়ার নানির বাড়ি আলমডাঙ্গার বন্দরভিটা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় পথের মধ্যে মৃত্যু হয়।
নিহত টিয়ার বাবা মাহাবুল জানান, আমার মেয়েগুলোকে দেখার জন্য শশুর বাড়ির লোকজনেরা আকুল হয়ে ছিল। তাই সেই আবদার রাখতে কোরবানি ঈদের চারদিন আগে গত ২৫শে জুন রবিবার দোয়েল,কোয়েল,ময়না, টিয়াকে নিয়ে মেয়ের মা ও আমি তাদের নানির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঈদের তৃতীয় দিন টিয়ার শরীরে ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা দেখা দেয়, তাৎক্ষণিক দেরি না করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান মিলন ডাক্তারকে দেখায়, এরপর আবারও শশুর বাড়িতে রেখে আমি বাড়িতে চলে আসি।আমি বাচ্চারগুলোর দুধ নিয়ে নিয়মিত দেখতে যাই। ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল টিয়ার।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে হটাৎ অসুস্থ হলে আমাকে কল দেয়,সাথে সাথে দেরি না করে আমি গিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। এরপর লাশ গ্রামের বাড়ি বিষ্ণুপুর দক্ষিণ পাড়ায় নিজ বাড়িতে আনা হয়। ইউএনও স্যারের জানিয়েছিলাম তিনি দাফন সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়েছিলেন,বাদ মাগরিব বিষ্ণুপুর দক্ষিণ পাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতাকে ফোনে ঘটনাটি জানানো হয়, বিষয়টি শুনে তিনি খুব মর্মাহত হন। তিনি বলেন আমি চুয়াডাঙ্গায় ডিসির বদলি জনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আছি। টিয়ার লাশ দাফনের জন্য পরিবারকে নির্দেশনা দেন ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান এবং নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি আজ শুক্রবার সকালে নিহত টিয়ার পরিবারেকে দেখতে আসবেন বলে জানিয়েছেন।