দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মৃত জুবান মালিতার স্ত্রী জায়েদা খাতুন মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে স্রোতে নিখোঁজ হয়। দুইদিন ধরে ডুবুরি দল ব্যর্থ চেষ্টা করে ফিরে যান নিজের গন্তব্যস্থলে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সন্ধানে অবশেষে ৩৬ ঘন্টা পর রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নিখোঁজ হওয়া ঘাট থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে উপজেলার পারকৃষ্ণপুর ব্রিজের পিলারে লাশটি আটকে ছিল। আজ সোমবার সকাল ৯ টার সময় জানাজা শেষে পুরাতন বাস্তপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন করা হয়।
উল্লেখ থাকে যে, জানাযায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর মালিতা পাড়ার জুবান বিশ্বাসের স্ত্রী জায়েদা বানু (৭০) মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। খবর পেয়ে এলকার লোকজন অনেক খোজাখোজির পরও পাওয়া যায়নি।
পরে দর্শনা ফায়ার সার্ভিস টিমকে খবর দিলে টিম লিডার নাসির উদ্দীন ঘটনাস্থলে পৌয়ছায়। দর্শনা ফায়ার সার্ভিস সার্ব অফিসার নাসির উদ্দীনের মাধ্যমে খুলনা ডুবরি টিমকে খবর দিলে টিম লিডার মোশাররফ হোসেনের ৬ সদস্য টিম নিয়ে পানির নিচে খোজ করেন ডুবুরি দল ৭ ঘন্টা খোজ করার পর ও ডুবে যাওয়া নারীর খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন সকাল সাতটার সময় থেকে আবার খোঁজার কাজ শুরু করেন। একটানা ৫ ঘন্টা পানির নিচে অনুসন্ধান চালিয়ে সন্ধান মেলেনি বৃদ্ধ নারীর মরদেহ।
৩৬ ঘন্টা পর স্থানীয় ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পারকৃষ্টপুর পুর ব্রীজের নিচে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দর্শনা থানার পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে মৃত ব্যাক্তির পরিবারের শান্তনা দেন এবং মৃত ব্যাক্তির ছেলে আক্তারুল ইসলামের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল হান্নান, উপজেলা পি আই ও অফিস সহায়ক জাকির হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।