চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় করোনা শনাক্তের হার আবার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলায় ঘরে ঘরেই রয়েছে জ্বর,সর্দি-কাশির রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত চিকিৎসকদের।
তবে করোনা পরীক্ষা করাতে তেমন কোনো আগ্রহ নেই তাদের মধ্যে। কয়েক দিন শনাক্তের হার একটু কম থাকলেও হঠাৎ করে তা বেড়ে গেছে।
গত শনিবার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী শনাক্ত হয়েছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২০ জন ও কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবের ১৬ জন মোট ৩৬ জন। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার বেড ১৫টি থাকলেও রোগী বৃ্দ্িধর কারণে আরো ১০টি বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বেড সংখা ২৫টি। প্রতিনিয়ত রোগীর সংখা বৃদ্ধি পেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের ঘাটতি নেয়।
বহির্বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডা. এলিচ আক্তার বলেন, প্রতিদিন বহির্বিভাগে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী আসছে তাদের ৮০ শতাংশের জ্বর-সর্দি-কাশি থাকলেও তাদের আগ্রহ নেই পরীক্ষা করার। অতিরিক্ত জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এলে তাদের পরীক্ষার পর পজিটিভ হলে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে। আবার অনেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিদিনই এর সংখা বাড়ছে, ফলে বেডসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসার কোনো ঘাটতি নেই।
হাসপাতালে ছোট-বড় ৪১টি সিলিন্ডারে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ রয়েছে। হঠাৎ করে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেড়ে গেলে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
উপজেলায় বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫১ জন। এরা হোম কোয়ারেন্টিন ও বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন।