দামুড়হুদা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের খালেকের ছেলে সাইদুরের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে ১ সন্তানের জননীর অবস্থান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়। দিনভর তাকে বুঝিয়েও বাড়ি ফেরাতে পারেনি মেয়ে পক্ষ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কুনিয়া গ্রামের নাজুর মেয়ে নাজমিন নাহার ফুলতলির উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামে বিবাহ হয়। নাজমিন নাহার ফুলতলির স্বামী খুবই ভদ্র প্রকৃতির ছেলে। তা সত্ত্বেও নাজমুন নাহার ফুলতুলির সাথে চাঁদপুর গ্রামের খালেকের বখাটে ছেলে সাইদুর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মন দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজনের অজান্তেই তারা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে মেলামেশায় লিপ্ত হতে থাকে। নাজমিন নাহার ফুলতলি সাইদুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যেতে থাকে। অবশেষে প্রেমের টানে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে নিরুপায় হয়ে নাজমুন নাহার ফুলতলি আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ের দাবীতে সাইদুুরের বাড়িতে উঠে। ঘটনার খবর পেয়ে নাজমুন নাহার ফুলতলির বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে সে শয্যাশায়ী।
ফুলতলীর মা জানান সাইদুর আমার মেয়ের সোনার সংসার নষ্ট করে দিলো। তার ১ বছরের একটি বাচ্চা রয়েছে। সকলে বুঝিয়েও তাকে ফেরত আনতে পারলাম না। স্থানীয় অনেকেই নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, সাইদুর চুলের ব্যাবসা করে। তার খুব টাকার গরম। সে টাকার গরমে এলাকার বিভিন্ন মেয়েকে উত্যাক্ত করে বেড়াতো। সে একটি সুন্দর সংসার নষ্ট করে দিলো। তার শাস্তি হওয়া দরকার। এ বিষয়ে জানতে সাইদুুরের বাড়ি গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি আগে থেকে টের পেয়ে সে সটকে পড়ে।সাইদুরের বাবা জানান কি করবো। ছেলে মেয়ে দুজন দুজনকে ভালোবাসে। ইদ্দত পালন শেষে তিনমাস পর তাদের বিয়ের ব্যাবস্থা করতে হবে।
স্থানীয়রা জানান সাইদুর ও নাজমিন নাহার ফুলতুলি আজই বিয়ে করে সাইদুর যেখানে চুলের ব্যাবসা করে সেখানে চলে যাবে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে জানতে ফুলতলীর সদাবরীর স্বামীর পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।