দামুড়হুদায় বসন্তের সাথে সাথে আম গাছগুলোতে দেখা মিলছে প্রচুর আমের মুকুল। মুকুলের গন্ধে মুখরিত দামুড়হুদা উপজেলার গ্রাম-গঞ্জ। মুকুল থেকে চলছে মৌমাছির মধু সংগ্রহের উৎসব।
উপজেলা সদরসহ সকল গ্রামের আম গাছগুলতে মুকুলে ভরপুর। বাতাসে মুকুলের সুবাস বইছে। মুকুলগুলো যেনো নষ্ট না হয় সে জন্য ইতোমধ্যে বাগান মালিকরা বাগান পরিচর্যার ব্যস্ত সময় পার করছেন। শোনা যাচ্ছে কোকিলের মিষ্টি ডাক আর মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে ভ্রমরের সুরব্যঞ্জনা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাগানসহ কিছু কিছু বাড়ির উঠানে আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। বাতাসে মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। গাছের আমপাতার সবুজ বিছানায় মুকুলের সোনালি রেণু যেন ফুলশয্যা সাজিয়েছে ফাগুনের। সেই সঙ্গে বিদায় নিচ্ছে শীতকাল। তবে আবহাওয়ার ওপর আমের ফলন নির্ভর করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন আম চাষিরা।
বাগান মালিকরা জানান, আগাম মুকুল দেখার পর তারা অনেক খুশি। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দামুড়হুদা সদরের আম চাষী আকতার মন্ডল বলেন, গতবছর ৭ বিঘা জমিতে আম বাগান ছিলো যা আম্পান ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়, তাতে করে আমি গত বছর মোটা অংকে ক্ষতিতে ছিলাম।
৪ দাগে ১৪ বিঘা জমিতে এবার আম্রপালিও হিমসাগর গাছ লাগিয়েছি। বর্তমানে আম গাছে যাতে কনো পোকার আক্রমণ বা মুকুল নষ্ট না হয় সেজন্য ঔষধ দিয়ে পরিচর্যা করছি। মুকুলের পরিমাণ মোটামুটি ভালো আছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত ভালো থাকলে এ বছরে গত বছরের ক্ষতি তুলে লাভবান হতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আমরা সব সময় আম চাষীদের সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করছি। প্রয়োজনে আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি। এ বছরে উপজেলাতে ৭৯৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।