চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সাব-রেজিস্টারের অফিসের মুহুরি আলমগীরের বিরুদ্ধে ভুয়া দলিল ও জালিয়াতি করে জমির নাম খারিজ করে জমি বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা জায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গাং পাড়া গ্রামের নিকবার আলীর ছেলে ফারজুল ইসলাম জমি ক্রয় করে একই ইউনিয়নের তারিনী পুর গ্রামের মসলেম মুহুরির ছেলে আলমগীরের মাধ্যমে। ডুগডুগী গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী রওশনারা কাছ থেকে মোট ৮ কাঠা ৪ গুন্ডা জমি ক্রয় করেন, দাম ৫৭লক্ষ টাকা, কিন্তু ওই দাগে রওশনারার মোট ৩ কাঠা জমি ছাড়া আর কোন জমি ইেন। তবে কি ভাবে মুহুরি আলমঙ্গীর ৮ কাঠা ৪ গুন্ডা জমির নাম খারিজ করে জমি রেজিস্টি করে দিলো।
ভুক্তভোগী নিকবার আলী বলেন, তারিনী পুর গ্রামের মসলেম মুহুরির ছেলে আলমগীর মুহুরির মাধ্যমে ডুগডুগী গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী রওশনারার কাছ থেকে গত ১১/১১/২০২০ইং তারিখে ৮ কাঠা ৪ গুন্ডা জমি ক্রয় করি। জমির দাগ নং ৬৬৭৩/২০, এখন দেখতে পাচ্ছি রওশনারার মোট জমি আছে ৫ কাঠা, জমির দলিলও জাল। নাম খারিজও করেছে চিটারী করে, আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
আমি মূর্খ মানুষ লেখা পড়া জানিনা মুহুরি আলমঙ্গীরের নিজের ছেলের মত ভাবতাম, আমি কখনও ভাবিনি আলমগীর আমার সাথে এই ধরনের চিটারী বাটপারী করবে। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।
মুহুরি আলমগীরের মত চিটার বাটপারের কারণে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে, আর যেন কারো এমন ধরনের ক্ষতি না হয়। আমি বাটপার আলমগীরের নামে মামলা করবো। আমি দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বাটপার আলমগীরের লাইসেন্স বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।