দামুড়হুদা উপজেলায় লকডাউনের ২য় দিনেও প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা, রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করোনাভাইরাস সংক্রম ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত মঙ্গলবার ভোর ৬ টা থেকে দামুড়হুদা উপজেলায় লকডাউন কার্যকারিতা শুরু হয়। বুধবার লকডাউনের ২য় দিনে প্রশাসনের ভূমিকা ছিলো আরো কঠোর।
সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন, আনসার- ভিডিপি, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক গ্রাম পুলিশ ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে লকডাউন বাস্তবায়নে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, গ্রাম-গন্জ ও শহরের চলাফেরার রাস্তায় রাস্তায় প্রবেশ পথে ব্যারিকেড দিয়ে মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের কড়া নজরদারীতে রাখা হয়।
এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মানুষ চলাচলের উপর চলে কঠোর বিধিনিষেধ। বিশেষ করে লকডাউন এলাকার মানুষকে কোন ভাবেই এলাকার বাহিরে যেতে নিষেধ করা হয়। জরুরী ঔষধ, কাঁচামাল, পশু-পাখী, পশু খাদ্য, সার সহ কৃষি কাজে ব্যবহারিক জিনিষ পত্রের উপর শিথিলতা রেখে, জরুরী প্রয়োজনীয় পণ্য, অসুস্থ রোগী ও এম্বুলেন্স ব্যতিরেখে কঠোর ভাবে লকডাউন বাস্তবায়িত হয় দামুড়হুদা উপজেলায়। অপরদিকে দর্শনা পৌর অন্চল সহ সীমান্তবর্তী গ্রাম ও ইউনিয়ন গুলোতে ২য় দিনের লকডাউনে প্রশাসনের ভুমিকা ছিলো আরো কঠোর। গতকাল দামুড়হুদা শহর, দর্শনা পৌর এলাকাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়গন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অন্চল পরিদর্শন করেন।
রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড নিশ্চিত সহ মানুষের চলাফেরার উপরে নজদারী বৃদ্ধি, মানুষকে অযথা রাস্তায় চলাচল বন্ধ করতে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আঃ খালেক ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহবুবুর রহমান তার পুলিশ বাহিনী সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারে ও লকডাউন বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ২য় দিনেও দামুড়হুদা উপজেলাবাসী একটি কঠোর লকডাউন দেখলেন।
এসময় নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, সব ধরনের অফিসে কর্মচারী থেকে কর্মকর্তাদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে চলাচলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে কঠোর হবে প্রশাসন। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। করোনা পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে এতগুলো মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম তখনি সার্থক হবে যখন সাধারণ মানুুষ, আইন মেনে চলবে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। মাত্র ১৪ দিন একটু কষ্ট হলেও যার যার অবস্হান থেকে লকডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করলে আমরা সবাই সফল হবো। গতকাল লকডাউনে দর্শনা পৌর মেয়র সহ দামুড়হুদা উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাও লকডাউন বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে দেখা গেচে। অন্য দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অব্যহত ভাবে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন হতে বলা হয়েছে। এলাকার সাধারন মানুষও চায় তারা নিয়ম মেনে লকডাউন বাস্তবায়ন করে নিজে, নিজের পরিবার ও সমাজকে এই মরনঘাতী করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে।