দামুড়হুদায় মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সফল সিজারিয়ান এর মাধ্যমে ৩ টি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন শিখা নামের এক গৃহবধূ ।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পাঠাচোরা গ্রামের হামজার স্ত্রী শিখা খাতুনের (৩০) প্রসব বেদনা শুরু হয় গত পরশু। পরিবারের নিকটজনেরা গৃহবধূ শিখাকে উপজেলার দামুড়হুদা মা ক্লিনিকে নেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূর সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ঐ দিন বিকাল ৪ টার দিকে সার্জন ডাঃ আবু হাসানুজ্জামান নুপুর সফল অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে একে একে ৩ টি কন্যা সন্তান উঠিয়ে নেন। শিখা পাঠাচোরা গ্রামের হামজার স্ত্রী ও একই গ্রামের সাবদার আলী মেয়ে। হামজা ওশিখা দম্পতির সংসারে আগে ১৬ ও ৫ বছরের ২ টি কন্যা সন্তান রয়েছেন বলে জানা যায়।
গৃহবধূর নিকটতম এক আত্মীয়র মাধ্যমে জানা গেছে, ভূমিষ্ঠ হওয়া ৩ টি কন্যার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ততটা ভালো না। গৃহবধূ শিখার স্বামী ও ৫ কন্যার পিতা হামজা কৃষি কাজ করতেন। সে নিজে ও পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রায় ২ মাস আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন কর্মের জন্য।
কন্যা সন্তাদের মা জানান, একসঙ্গে তিন সন্তান পেয়ে আমি ও মেয়েদের বাবা খুশি, আমার আগেও ২ টি কন্যা সন্তান আছেন। বর্তমানে আমার ৫ টি কন্যা সন্তান হলো। আমি আমার সন্তানদের লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই। আপনারা আমার পরিবার ও সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর নিকট থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার গৃহবধূ শিখা দম্পতির সিজারিয়ানের মাধ্যমে কোল জুড়ে ৩ টি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। ভূমিষ্ঠ ৩ টি শিশু কন্যাসহ গৃহবধূ শিখা সুস্থ আছেন।