চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের তারিনী পুরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, কৃষি জমিতে ৫০ মিটারের ব্যবধানের মধ্যে গড়ে উঠেছে দুইটি ইট ভাটা।
পরিবেশ অধিদপ্তরে নাম মাত্র আবেদন করে ছাড় পত্র ছাড়াই ইট ভাটা মালিকরা আবাদি জমি ও জনবসতি এলাকায় রাত দিন ইট পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইট ভাটার বিষাক্ত ছাই ও কালো ধোঁয়ায় ফলন হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, শত শত একর জমির বোরো ধান, রবিশস্য, এবং আমসহ বিভিন্ন ফসলের।
সেই সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ইট ভাটার পাশ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রাম পুর-তারিনী পুর গ্রামে বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে মেসার্স নিউ শেখ ব্রিকস ও হেড ব্রিকস নামের দুইটি ইট ভাটা গড়ে উঠেছে।
এসব ইট ভাটার একটিও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, পরিবেশ অধিদপ্তরের নাম মাত্র আবেদন করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। ইট ভাটার আয়তন দুই একরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও বিস্তৃর্ণ এলাকা দখলে নিয়েছেন তারা। ভরাট করেছেন পানি নিষ্কাশনের পথ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইট ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না।
জয়রাম পুরের কৃষক বজলু, তাহের, রমজান, মনিরুল, জানান ইট ভাটার মালিকরা জমি ভাড়া নিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ করছেন। এসব ইট ভাটার কালো ধোঁয়ায় পাঁচ ছয় বছর ধরে বোরো ও আমন ধানের ফলন বিঘা প্রতি ছয় সাত মণ কমে এসেছে, ভাটার কালো ধোঁয়া সব চেয়ে বেশি ক্ষতি করছে বিভিন্ন বাগানের, ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় কয়েক বছর ধরে এ এলাকায় আম, কাঁঠাল, নারকেল সহ বিভিন্ন ফল ধরাও কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, জমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে ইট তৈরি করার কারণে ওই এলাকার জমির উর্বরা শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে, এটা কৃষির জন্য মারাত্মক হুমকি, শিগগিরই দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।