আসন্ন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ( ইউপি) নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি সহ অন্যআন্য দলের প্রার্থীর মাঠে না থাকলেও বাংলাদেশ আওয়ামীগের ৭জন দলীয় নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠে থেকে নিজ নিজ নির্বাচন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন । প্রার্থীদের সকলেই দিচ্ছেন উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। তবে এবার দামুড়হুদা সদরের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে প্রার্থী সাধারণ মানুষের পাশে থেকে ইউনিয়নের সকল উন্নয়নে কাজ করবে তাকেই সাধারণ ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে চাইছেন ইউনিয়নের সেবক।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা সহ কোন ধরনের জটিলতা না থাকার ফলে ইতিমধ্যেই গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেমতে আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা সদর,জুড়ানপুর, কার্পাসডাঙ্গা, কুড়ুলগাছি সহ দেশের ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর। বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তির ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর।
ইউপি নির্বাচনে যাবে না বিএনপিঃ
আগামীতে অনুষ্ঠিত আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি। গতকাল রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানান। এর আগে শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলেও জানান ফখরুল ইসলাম। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ( ইউপি) নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন( ইসি) চাইছেন সকলের অংশ গ্রহণ। আসন্ন নির্বাচনে কে সামনে রেখে বিএনপি, জামাত সহ অন্য রাজনৈতিক দল ও দলের কোন প্রার্থীর পক্ষে বা প্রার্থী’ র নিজেকেও দেখা যাচ্ছেন না মাঠে।তবে ক’ একমাস আগে নির্বাচনী গণসংযোগ করতে দেখা গেছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের তিনি তিনি বারের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু’র।তবে দলটি সহ তার অঙ্গসংগঠন উপজেলাতে প্রায় নিষ্ক্রিয় বললেই চলে।তবে দলীটির পক্ষে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা ছিলেন উল্লেখযোগ্য। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সামগ্রী অক্সিজেন, মাক্স ইত্যাদি প্রদান করেন দলটি। অবশ্য বিএন পি’র নীতিনির্ধারকেরা যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দলীয় মনোনয়ন দেন সেক্ষেত্রে সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু সহ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু। উপজেলাতে দীর্ঘদিন যাবৎ জামাতের তেমন কোন কার্যক্রম লক্ষ্য করা না গেলেও। পাড়া-মহল্লায় সংগঠনটির রয়েছেন একাধিক সক্রিয় নারী-পুরুষের সদস্যরা। সংগঠনটি মূলত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে আঃ লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বেশির ভাগই প্রার্থী ভাবছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়কেই বিজয়। অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় তাঁদের মধ্যে এমন মনোভাব তৈরি করেছে। এজন্য আসন্ন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সম্ভব্য প্রার্থীদের সকলেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন নৌকা পেতে।দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকার মাঝি হতে সর্বোচ্চ যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছেন দৌড়- ঝাঁপ।আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে দামুড়হুদায় আগাম প্রচার- প্রচারণা শুরু করেছেন আঃ লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। ভোটারদের কাছে চাইছেন দোয়া, দিচ্ছেন উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। প্রতিশ্রতির ঝুলি নিয়ে প্রচার – প্রচারণায় চালিয়ে যাচ্ছেন তারা হলো, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী- চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি হাজী. আঃ কাদির, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়রত আলী,আঃলীগ নেতা এ্যাড. আবু তালেব, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আঃ লীগের সদস্য সেলিম উদ্দিন বগা, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আঃ লীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মনির ও আঃলীগ নেতা শাহিন উদ্দীন।
প্রার্থীরা তাদের প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে নিউজ প্রিন্ট, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক আইডির ব্যবহার করছেন,ক’একজন প্রার্থীর কেউ কেউ বিভিন্ন সমর্থন গোষ্ঠী পেইজ খুলে বিভিন্নভাবে প্রাচারণাও চালিয়ে আসছেন ।বিভিন্ন সামাজিক ছোটখাট অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেদেরকে প্রার্থী হিসেবেও ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে প্রার্থীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সাধারণ ভোটাররা যা বললেনঃ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আঃ লীগ সমর্থিত ও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল কবীর ইউসুফ, হাজী আঃ কাদির,হয়রত আলী, এ্যাড. আবু তালেব,সেলিম উদ্দিন বগা, শাহিন উদ্দীন ও মমিনুল ইসলাম মনির এখনো পর্যন্ত ছুটে ছুটছেন ভোটারদের দাঁড়ে দাঁড়ে ।তবে প্রার্থী হিসেবে চার জনের নাম ভোটারদের মধ্যে আলোচানা সমালোচনায় রয়েছেন তারা জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবীর ইউসুফ, শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী আঃ কাদির , উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়রত আলী ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন বগার নাম। তবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রত্যেক প্রার্থীর ভূমিকাও ছিলেন প্রশংসনীয়।
সাধরণ ভোটার মাধ্যমে জানা যায়ঃ
চেয়ারম্যান প্রার্থী পদপ্রার্থী শফিউল কবীর ইউসুফ অসহায় পরিবার গুলোর পাশে থেকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। মহামারি করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিতরণ করেছেন উন্নত মানের স্বাস্থ্য সামগ্রীও। করোনা রোগীদের জন্য দামুড়হুদাতে ফ্রী অক্সিজেন সেবা প্রদান কার্যক্রম চালু করেন তিনি ।বিভিন্ন সময়ে এলাকার অসহায়- দরিদ্র পরিবার গুলোর পাশে থেকে বাড়িয়েছেন সহযোগিতার হাত। চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতিও উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী আঃ কাদির দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সাধারণ মানুষের সেবায়।সর্বদাই সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করেছেন সাধারণ মানুষের সাথে থেকে। প্রচারণা সহ সদর ইউনিয়নের অসুস্থ, দিনমজুর, দরিদ্র পরিবার, মসজিদ, মাদ্রাসা সহ সামাজিক সকল উন্নয়ন মুলক কাজের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন গ্রামের যাতায়াতের জনদূর্ভোগ লাগবে নিজ উদ্যোগে ইট ফেলে চলাচলে উপযোগী করে তুলা, করেনা সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ সহ জনসেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। এ প্রার্থী যুবকদের মাদকের কলার গ্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রতিনিয়ত নানা দিক নির্দেশনা ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা জন্য সাধারণ মানুষের কাছে অল্প সময়ের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে সু- পরিচিতি লাভ করেছেন। উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজে সর্বক্ষেত্রেই উনার সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে লক্ষ্যনীয়। নির্বাচন কে অব্যাহত রয়েছে এ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা।
অপর এক প্রার্থী হয়রত আলীও পিছিয়ে নেই।তিনিও নির্বাচনী এলাকায় দিনমজুর, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে থেকে সাধ্য অনুযায়ী সহোযোগিতা করে আসছেন।নেশা মুক্ত যুব সমাজ গঠনে যুবকদের মাঝে বিতরণ করেছেন খেলার সামগ্রী। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রেখে বিতরণ করেছেন স্বাস্থ্য সামগ্রী। নিন্মবিত্ত পরিবারের পাশে থেকেছেন।জনদূর্ভোগ লাগবে বিভিন্ন এলাকরা রাস্তাতে ইটের আদলা ফেলে মেরামত করেছেন।এ প্রার্থীর প্রচারণা চলেছে চলমান।
চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়ন আঃলীগের সদস্য সেলিম উদ্দিন বগা’ যিনি আঃ লীগের সংগঠনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত থেকে রাজনৈতিক মাঠে রয়েছেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সামগ্রী মাস্ক বিতরণ করা সহ অসহায় পরিবার পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আসছেন। দোয়া চাইছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছে।
এছাড়াও প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন তারা হলোঃ আঃলীগ নেতা এ্যাড. আবু তালেব রাজনৈতিক মাঠে থেকে কাজ করছেন । এ্যাড. আবু তালের ছাত্র জীবন থেকেই আঃ লীগের রাজনৈতিকের সাথে জড়িত। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনিও একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছে দোয়া ও সমর্থন চাইছেন।
প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছে দোয়া ও সমর্থন চাইছেন দামুড়হুদা সদর আঃলীগের যুগ্ম সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী মমিনুল ইসলাম মনির। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এ প্রার্থী রেখেছেন ভূমিকা।করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পথচারী, শ্রমিক ও ভ্যানচালকদের মাঝে বিতরণ করেছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক।বিভিন্ন সময়ে করছেন নির্বাচনী প্রচারণা।
আঃ লীগ নেতা শাহিন উদ্দীনের নামও শুনা যাচ্ছে ভোটারদের কাছে। যিনি একজন আঃ লীগ পরিবারের সন্তান।এ প্রার্থীর দাদা মৃত. ওয়াদুদ মন্ডল ছিলেন বাংলাদেশ আঃলীগের দামুড়হুদা থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি বিভিন্ন সময়ে সেবামূলক কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ভোটারদের নিকট চাইছেন তাদের মূল্যবান ভোট।
এছাড়াও দামুড়হুদা উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফর্ম জমা দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে বিএনপি বা জামায়াতের প্রার্থীদের কাউকেই মাঠে দেখা যাচ্ছে না,তবে সদর ইউনিয়নের দলমত নির্বিশেষে কারো মৃত্যু বরন করলে নামাজে জানাজা,দাফন, মিলাদ ও দোয়া মাহাফিলে অংশ গ্রহণ করে মরহুমের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছেন আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা যা বলছেনঃ
জেলা পরিষদের সদস্য ও সদর ইউনিয়ন আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ বলেন, আমি দীর্ঘ জীবন ধরে রাজনীতির মাঠে আছি।
আমি আঃলীগ দলের সাথে রাজনীতি করছি। দলের সাথে কখনো বেইমানি করিনি। আসন্ন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন চাইব। দল মনোনীত করলেই আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবো। অন্যথায় দলীয় প্রার্থীর বিজয়ী করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলীয় স্বার্থে কাজ করে যাবো।
দামুড়হুদা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী আঃ কাদির বলেন, আমি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রত্যাশী।মহান আল্লাহ তায়ালা সকলের দোয়াতে আমাকে ভালো রেখেছে।সেক্ষেত্রে আমি দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়নের সর্বসাধারণের খোঁজ রেখে আসছি,আমার মনে হয়েছে জনসাধারণের সেবা করার একটা উল্লেখযোগ্য মাধ্যম জনপ্রতিনিধি , কারণ জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খুব কাছ থেকে সমাজের গরীর, অসহায়,দুস্ত, এতিম সহ সকলের সেবা ও ভালেবাসা পাওয়া সহজ হয়ে ওঠে।দল যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে নৌকা তুলে দেন আমি নির্বাচনে বিজয়ী হলে ইউনিয়ন বাসীর সেবার মাধ্যমে দলীয় সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে সর্বত্র চেষ্টা করবো।আধুনিক মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গঠনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব,ইনশাআল্লাহ। গণসংযোগ ও মতবিনিময় করা কালে সর্বসাধারণের সহোযোগিতায় পাচ্ছি।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন,আমি ছাত্রীজীবন থেকেই আঃ লীগ রাজনৈতিকের সাথে জড়িত। বর্তমানে দামুড়হুদা সদর আঃ লীগের ১ নং সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে রাজনৈতিক মাঠে রয়েছি।আমার রাজনৈতিক জীবনে সর্বদাই চেষ্টা করি মানুষের পাশে থেকে সেবা করে আসছি।আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইব। দলীয় সিদ্ধান্তে যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে আমি উন্নয়নের ধারা অব্যহত রেখে দলীয় শৃঙ্খলার সাথে কাজ করে সাধারণত জনগণের মাঝে আধুনিক ও মাদকমুক্ত ইউনিয়ন উপহার দিতে চেষ্টায় কাজ করে যাব।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আঃ লীগ নেতা এ্যাড. আবুু তালেব বলেন, আমি ১৯৮১ সালে যখন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসেন তখন থেকেই আমি আঃ লীগের রাজনীতিতে আছি।জননেত্রী যখন দেশে আসেন তখন আমি ছাত্র ছিলাম। দলের দুর্দিনে দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম লড়াই করেছি, দলীয় সীদ্ধান্ত আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। আমি এরশাদ উৎখাত, কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও, খালেদা জিয়া, ফখরুল হাঠাও আন্দোলন করেছি। জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব নীতি নৈতিকতার সহিত পালন করে গেছি।সার্বিক দিক থেকেই আমিন নৌকা পাওয়ার আশাবাদী। দলীয় নেতৃত্বদান কারী সকল নেতা কর্মীরা আমার রাজনৈতিক সম্পর্কে জানেন।আমার পূর্ন বিশ্বাস আছে নেতৃবৃন্দের উপর দলীয় মনোনয়ন নৌকা পেতে।তবে কোন কারনে যদি আমি দলীয় মনোনয়ন না পায় তাহলে আমি দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দলীয় প্রার্থীর সাথে নৌকা কে বিজয় করতে কাজ করবো।
উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন বগা বলেন, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির শৃংখলা ও শিষ্টাচার মেনে রাজনীতি করেছি।আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে “নৌকা” দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। নিরপেক্ষতার সাথে যদি সৎ, যোগ্য, মেধাবীকে নৌকা দেন,তবে নৌকার মাঝি আমি হবো ইনশাআল্লাহ। সারাবিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাসে সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরন্ত শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রেখে চলছেন।সরকারের পাশাপাশি শীতকালীন শীতার্তদের মাঝে প্রায় ১ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা সহ চলমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে করে চলেছি জনসচেতনতা সৃষ্টি, মাস্ক সহ খাদ্য সামগ্রী করেছি।আসন্ন নির্বাচনে জনগনের সেবক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমার নির্বাচন এলাকায় প্রতিটি মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।এলাকা ঘুরে আমি যতটুকু বুঝেছি এবার ইউনিয়ন বাসীর সেবক হিসেবে সৎ দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিকেই তারা নির্বাচিত করবেন। তবে আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আঃ লীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মনির বলেন,আমি বাংলাদেশ আঃ লীগের রাজনৈতিক সাথে মাঠে রয়েছি। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি।সাধ্য অনুযায়ী মানুষকে পাশে থেকে সেবা করতে নিজেকে উৎসর্গ করে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছি।নেতাকর্মীদের সুখ দুঃখে পাশে থেকে যতটুকু পেরেছি সহযোগিতা করেছি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক দেন তবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।
আঃ লীগ নেতা শাহিন উদ্দীন বলেন,আমি একজন আঃলীগ পরিবারের সন্তান। আমার দাদা মৃত ওয়াদুদ মন্ডল ছিলেন বাংলাদেশ আঃলীগ দামুড়হুদা থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক শুরু করি ১৯৯৪ সাল থেকে। ১৯৯৭ সালে আমি প্রথম থানা ছাত্রলীগের সহ- সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করি।২০০১ সালে বিএনপি – জামায়াতের ঘৃণ্য রাজনীতির স্বীকার হয়ে আমাকে ৮ টি নাশকতা মামলায় দেয়।এতে আমি আটক হয়ে কারাভোগ করি। আমি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রার্থীর হিসেব অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছ। দলের নেতৃবৃন্দ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখে আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন নৌকা দেন তবে আমি নির্বাচন করবো। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে আমি নিজেকে ইউনিয়ন বাসীর সেবক হিসেবে কাজ করে যাব।
এ বিষয়ে ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহামেদ রিংকু বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্র লীগের সাথে সম্পৃক্ত আছি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমি দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা মনোনয়ন চেয়েছি।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বি এনপি’ র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের সাথে আছি। তবে নির্বাচন নিয়ে আপাতত আমার কোন মতামত নেই। দলের নীতিনির্ধারকেরা যে সীদ্ধান্ত নিবে আমরা নেতাকর্মীরা সে সীদ্ধান্তের সাথে একমত। তবে আমাদের দল যদি নির্বাচনে আসেন বা অংশগ্রহণ করেন তাহলে আমি দলীয় মনোনয়ন ধানের শীর্ষ প্রতিক চাইব।অন্যথায় দলীয় সীদ্ধান্তের বাহিরে যাব না।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু বলেন,এখনো পর্যন্ত দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না আমাদের দল। যদি দলীয় সীদ্ধান্ত পরিবর্তন হয় এবং নির্বাচনে যায় তাহলে আমি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করব।
জামাতের দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক শরিফুল আলম মিল্টন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে আমি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত রয়েছি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়ন আমির আবুল বাশার এ প্রতিবেদকে জানিয়েছেন, আমাদের দলীয় সিদ্ধান্তে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক শরিফুল আলম মিল্টনকে ই সমর্থন দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি এর আগেও জামাতের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন।সেজন্য দলীয় ভাবে তাকেই রাখা হবে।তবে কোন কারণে যদি তিনি নির্বাচন না করেন সেটা পরবর্তীতে বসে সীদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তবে আমাদের জানামতে তিনি নির্বাচন করবেন।এছাড়া আমাদের নির্বাচন নিয়ে এতোটা মাতামাতি নেই।দলীয়ভাবে একজন প্রার্থী দিতে হয় তাই তাকে দেওয়া হয়েছে