শুধু বাংলাদেশে না, সারাবিশ্বের যুগটাই যেন স্মার্টফোনের। অথচ আগের দিনগুলোতে একেক জনের হাতে থাকতো একেক ব্র্যান্ডের ফিচার ফোন। শুধু ডিজাইন রঙ বা বৈচিত্র্যই নয়, ফিচার ফোন ব্যবহারের রয়েছে নানা সুবিধা। আর এসব সুবিধা স্মার্টফোনে কখনোই পাবেন না। ফিচার ফোন ব্যবহারকারীদের আনস্মার্ট বা ব্যাকডেটেড এরকম অনেক কথা শুনতে হয়। এর কিছু সুবিধার কথা জেনে নেওয়া যাক।
-ফিচার ফোন স্মার্টফোনের থেকে অনেক বেশি শক্তপোক্ত হয়। অনেকে রাগ হলেই হাতে যা থাকে তাই আছাড় মেরে বসেন। তখন হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলে তো কথাই নেই, ওটা শেষ। আবার অসাবধানতাবশত স্মার্টফোন হাত থেকে পড়ে গেলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ফিচার ফোন সহজে নষ্ট হয় না।
-আজকাল বাসের জানালা বা চলন্ত রিকশা থেকে মোবাইল ছোঁ মেরে নিয়া যাওয়া মানুষকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। বাসে জানালার পাশে বসে কোন ধরনের চিন্তা ছাড়াই ফিচার ফোন কানে লাগিয়ে কথা বলতে পারবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফিচার ফোনের প্রতি চোরের দৃষ্টিই পড়ে না। চোরের নজর থাকে সবসময় দামী স্মার্টফোনের প্রতি। ছিনতাইকারীদের দুশ্চিন্তও বাদ দিতে পারেন।
-বর্তমানে প্রায় সব স্মার্টফোনই খোলার সুযোগ নেই। কিন্তু ফিচার ফোনের ব্যাকপার্ট, সাইডপার্ট সব খোলা যায়। আপনি সহজেই এইসব পার্ট খুলে পরিষ্কার বা যত্নআত্তি করতে পারবেন।
-ফিচার ফোনে শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যাকআপের সুবিধা পাওয়া যায়। ফিচার ফোন একবার চার্জ দিলে অনেকদিন চার্জ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যদিও স্মার্টফোনের ব্যাটারির শক্তি অনেক বেশি থাকে। কিন্তু এই ব্যাটারিও যেনো স্মার্টফোনের কাজের ধরন সামাল দিতে অক্ষম।
-ফিচার ফোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- এটি ব্যবহারকারীকে আসক্ত করে ফেলে না। যখন তখন ফেসবুক ভাইবার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা থেকে দূরে রাখবে। অনেক মানুষ আছেন যারা স্মার্টফোনই ব্যবহার করেন না, ফিচারফোনই একমাত্র তাদের ভরসা।