দূর্ঘটনার কবলে পড়ে মেহেরপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের পিক্যাপ ভ্যানটি (যার নম্বর- ঢাকা মেট্রো-ঠ ১১-২৬৫৫) দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনীর ছাতিয়ান নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক যার নং-(ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৪২৫৮) তাকে ধাক্কা দিলে এটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় গাড়ি চালক সাজাহান আলী আহত হন। স্থানীয় জনতা ধাক্কা দেয়া ট্রাকটিকে আটক করেছে।
কি কারণে সরকারী গাড়িটি ছাতিয়ান নামক স্থানে গেল এবং কেন এ দূর্ঘটনা তা নিয়ে একেক কর্মকর্তা একেক ধরণের বর্ণনা দিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে তাদের এই বক্তব্য আলোচনায় এসেছে।
আহত চালক সাজাহান আলী জানান, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জরুরী প্রয়োজনে নিজ বাড়ি রংপুরে যাচ্ছিলেন। তাকে কুষ্টিয়াতে রেখে মেহেরপুরে ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটি গাড়ির ডান দিকে ধাক্কা দিলে এটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। একই কথা জানিয়েছেন জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।
অথচ জেলা প্রানী সম্পদ অফিসের প্রধান সহকারি মিলন জানান, গাংনীর মহাম্মদপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ ডিম দুধ বিক্রি ক্যাম্প চলছিল। সে ক্যাম্প পরিদর্শন করেন স্যার। পরে সেখানে থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পিক্যাপ ভ্যানটি।
চালক, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আর প্রধান সহকারীর বক্তব্যে গড়মিল হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একটি সুত্র জানায়, সরকারী গাড়ি কোন কাজে নিয়ে যেতে হলে তার লগবুক সাথে নিয়ে মুভমেন্ট অর্ডার লিখতে হয়। জেলার বাইরে যেতে হলে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে অন পেমেন্টে নিয়ে যেতে হয়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কীভাবে গাড়িটি নিয়ে গেলেন ? এর জবাব প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেননি।
এদিকে অফিসের নানা জবাব দিহীতার মধ্যে পড়তে হবে ভেবে তিনি ভিন্ন বক্তব্য পেশ করেছেন। গাড়ির মেইন্টেনেন্সসহ যাবতীয় কাজ প্রধান সহকারীকে করতে হয়। গাড়ির গন্তব্য ও দূর্ঘটনার কারণে তাকেই জবাবদিহী করতে হবে বিধায় প্রধান সহকারী ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।