দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮ জন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৯২৫ জন।
আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন,‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৯২২টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৫২৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ৪ হাজার ৮ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত ৯৮ হাজার ৪৮৯ শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।’
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৯২৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৩৮ হাজার ১৮৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৪৩ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ১ হাজার ৩০৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মৃত্যু বিশ্লেষণে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ১৫ জন।’
advertisement
বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ‘০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ১১ থেকে ২০ বছর ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৯ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন মারা গেছে।’
‘তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন এবং রংপুর বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ২৭ জন, বাসায় ১৫ জন মারা গেছে এবং ১ জন হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছে’ বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
এর আগে মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৮৬২ জন, মারা যায় ৫৩ জন। তার আগের দিন সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯ জন, মৃত্যু হয় ৩৮ জনের।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।