মহামারির এ সময়ে আমরা সবাই মোটামুটি ঘরেই সময় কাটাচ্ছি। লকডাউনের কারণে বাইরে খুব একটা যাওয়া হয়ে ওঠে না আমাদের অনেকেরই। এ সময়টায় এককভাবে বাড়িতে থেকেই করতে হচ্ছে সব কাজকর্ম। অফিসের যাবতীয় কাজ থেকে শুরু করে মিটিং পর্যন্ত সবই হচ্ছে ঘরে বসেই।
বাইরে কাজের পরিবর্তে এখন চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম ভিত্তিতে কাজ। এ কারণে ঘরে থেকে ওজন বাড়তে দেখা যাচ্ছে অনেকেরই। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, খুব সহজ একটি উপায়ে রোধ করতে পারেন আপনার মেদের বৃদ্ধি। আর এ সহজ উপায়ের মূলে রয়েছে ব্ল্যাক কফি। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এ কফিতে এমন সব উপকরণ রয়েছে, যা মেদ ঝরাতে পারে পাঁচ গুণ তাড়াতাড়ি।
জানুন কীভাবে খেতে হবে এ কফি—
যা লাগবে—
১. পানি, ১/২ কাপ
২. কফি পাউডার, ১ চামচ
৩. জয়ফলের গুঁড়া, ১ চামচ
৪. কোকো পাউডার, ১ চামচ
৫. দারুচিনির গুঁড়া, ১ চামচ
৬. নারিকেল তেল, ১ চামচ
যেভাবে বানাবেন—
এটি বানাতে প্রথমে পানি ফুটিয়ে তাতে কফি মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর এতে জয়ফল গুঁড়ো, কোকো পাউডার এবং দারুর গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে সবশেষে এতে মেশাতে হবে ১ চামচ নারিকেল তেল। এতেই হয়ে যাবে ওজন কমাতে কার্যকরী কফি।
এই কফি প্রতিদিন সকালে হাঁটার আগে অথবা শরীরচর্চা করার আগে খেলেই পাবেন ভালো ফল।
এ কফির উপাদানগুলোর রয়েছে অনেক উপকার। আর এ কফিকে বিশ্বের সেরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানা হয়। জেনে অবাক হবেন, এটি প্রতিদিন আধাকাপ পরিমাণ খেলেও পাবেন ভালো ও উজ্জ্বল ত্বক। এ ছাড়া অ্যাজমা ও ক্যানসার নিরাময়েও এই কফি অনেক উপকারী।
এ কফিতে দেওয়া জয়ফল হচ্ছে ফাইবারের খুব ভালো উত্স। আর এটি দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি খেলে খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কম হয়ে থাকে।
দারুচিনি আমাদের শরীরে ফ্যাট কমানোর হরমোন বাড়াতে সহায়তা করে এবং এটি মেটাবলিজমের হারও বাড়ায়। এ ছাড়া কোকো পাউডারও মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এ দুটি উপাদান দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এ কফিতে দেওয়া নারিকেল তেলে মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় সেটি মেদ ঝরিয়ে এনার্জি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত ১২ সপ্তাহ এ কফি খেলে এটি রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং বিএমআইয়ের পরিমাণ কমায়। এ কারণে কমে মেদ। এ ছাড়া এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বাড়িয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, সোয়াইন ফ্লু, সর্দি, জেনিটাল হারপিসের মতো রোগকে আটকাতে সাহায্য করে এ কফি।