ধলা কাথুলী সড়ক পিচ কথাটি যেন ভুক্তভোগীদের কাছে এ এক নতুন স্বপ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। মেহেরপুর থেকে গাংনী যেতে এ দিকে কায়েম কাটা থেকে কাথুলী মাঠ পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা।
ভুক্তভোগী দের কাছে উর্ধতন কর্মকর্তা সহ জন প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি এখন পিচ রাস্তা কথাটি যেন এ এক বিশাল সপ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।
গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মিজারুল ইসলাম জানান দীর্ঘ ৪ টি বর্ষা অতিবাহিত হলেও রাস্তা হওয়ার কোন পদক্ষেপ করে নি কেউ। নতুন বছর আসলো জানুয়ারি গেলেই কয়েক মাসের মধ্যে আবারো বর্ষা শুরু হবে যাবে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে মনে করি এই রাস্তা। তার আগেই যদি ঠিক করা হতো তাহলে আর ভুগান্তি হবে না।
অটো চালক ছমছের আলী জানান বর্ষার সময় চলতে পারিনা শুকনার সময় ও এক্সিডেন্টের ঝুকি থাকে। দ্রুত রাস্তা করার দাবি আগেও জানিয়েছি।তবে এখন আর জানাতে ইচ্ছে করে না। যখন মন চাই করবে।কারন আমাদের মত গরীব মানুষ অটো আলাদের কথা বলেও হবে না।
এ বিষয়ে গাড়াবাড়ীয়া ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জিনারুল ইসলাম জানান, পিচের ওপর হেয়ারিং হয়েছে, মাঝে মাঝে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে লোক এসে ইট ফেলে যায় এবং পিচের পুটিং করে রেখে যায়। দুইদিন পরে দেখা যায় আগের মতই অবস্থা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে আশার বানী শোনালেও এখনো কোন উদ্যোগ গ্রহন করেন নি।তবে বর্ষার আগে যেন এই রাস্তা হয় সেই জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান, আমিও দীর্ঘ দিন চেষ্টা করছি অফিসিয়াল জটিলতার কারনে থেমে ছিল।তবে খুব শিঘ্রই হবে। আমি মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন এম পি মহোদয় কে বলেছি এখানে ড্রেনের ব্যাবস্থা করে দেওয়ার জন্য। তা ছাড়া বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের কোন সুযোগ নেই। খুব দ্রুত যেন হয় সে জন্য চেষ্টা চলছে।
সহগল পুর গ্রামের হাবেল মিয়া জানান এই রাস্তাটা মেরমত এখন আমাদের সময়ের দাবি। এবার বর্ষার আগে যেন হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।