দিন ব্যাপি বর্ণাঢ্য আয়োজনে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মিয়াবাড়ীর সদস্যদের মিলন মোহনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পারিবারিক সম্প্রীতির বন্ধন মজবুত করতেই ঐতিহ্যবাহী পাকা পুকুর পাড়ে এই মিলন মোহনা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে ধানখোলা গ্রামের মিয়াবাড়ির ছেলে, মেয়ে, জামায়সহ সকলেই বিভিন্ন সাজে হাজির হয় ঐতিহ্যবাহী পাকা পুকুর পাড়ে। পাঁচ প্রজন্মের উপস্থিতিতে শুরু হয় নতুন করে পরিচিত-অপরিচিত ছোট বড় সকলের কুশল বিনিময় ও পরিচিতি পর্ব।
গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর উদ্যোগে, এমএস জোহা কলেজের প্রভাষক আলিমুজ্জামান বাবু ও ধানখোলা মাঝের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম শাহিনের সমন্বয়ে মিয়াবাড়ির পাঁচ প্রজন্মের বিভিন্ন বয়সের সদস্যরা মিলন মোহনা উপস্থিত হয়।
আগত সকলের সামনে প্রয়াত পূর্বপুরুষদের চিত্র প্রদর্শন, স্মৃতিচারণ ও তাদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। দোয়া শেষে শিশুদের চিত্রাংকন, আবৃতি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের পরে শুরু হয় কুইজ প্রতিযোগীতা, বড়দের হাড়ি ভাঙ্গা খেলাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতা ও লাকী কুপন ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্যোক্তা খোরশেদ আলীর নেতৃত্বে ঐতিহ্যবাহী এ অনুষ্ঠানে যোগদেন মিয়াবাড়ীর জামাতা গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেক।
অতিথি হিসেবে এই মিলন মেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করায় অনেকের সাথেই দীর্ঘদিন পর সাক্ষাৎ পেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে ছোট বড় সকলেই। এ যেন এক নতুন পৃথিবী। এই প্রথম এরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় উদ্যোক্তা ও সমন্বয়কারীদের প্রতি যেনো সকলেই কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সকলের অনুরোধ এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম বলেন, আমি মিয়াবাড়ির মেয়ে, ঈদের সময়ও এই আনন্দটুকু ভাগাভাগি করার সুযোগ হয় না। সকলেই পরিবারের কাজ আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করতে গিয়ে আর আমাদের কয়েক প্রজন্মের মানুষের সাথে সাক্ষাৎ হয়না।
আশা করি এখন থেকে প্রতিবছরই আমরা এরকম আয়োজন করতে পারবো।
মেপ্র/আরপি