নেপালে নারী সাফের জন্য অনেক দলই তাদের খেলোয়াড় তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে। চূড়ান্ত করা হয়েছে ২৩ জনের নাম। বাংলাদেশের তালিকা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। প্রাথমিক তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। পাঠানো তালিকায় ইনজুরিতে থাকা ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার রয়েছেন। পায়ের ইনজুরি কাটিয়ে সাফে খেলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
কৃষ্ণা রানী অভিজ্ঞ ফুটবলার। সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের ট্রফি জয়ের পেছনে কৃষ্ণার অবদান অনেক। পুরো সাফে ৪টা গোল করেছেন। বিশেষ করে ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের পেছনে জোড়া গোল রয়েছে কৃষ্ণার। ট্রফি জয়ের পেছনে এ দুটি গোল ছিল গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ফাইনালে নিজের তৃতীয় গোলটা নেপালকে শেষ করে দিয়েছিল ফাইনালে। কৃষ্ণার মতো ফুটবলার এবারও সাফে থাকছেন। তবে তার আফসোস হচ্ছে ইনজুরি কাটিয়ে উঠে আসতে হচ্ছে।
এখন কেমন আছেন কৃষ্ণা? গতকাল নিজের ইনজুরি নিয়ে কৃষ্ণ বলেন, ‘পায়ের ব্যথা নেই। অনেক ভালো আছি।’ কৃষ্ণার পায়ের পাতায় সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যাটা ধরতে না পারায় সঠিক চিকিৎসাও পানননি কৃষ্ণা। ভারতের গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন। রিহ্যাব করেছেন। এর আগে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছিলেন। এশিয়ান গেমসে খেলতে চীনে গেলেও তার মাঠে নামা হয়নি। পরবর্তী সময়ে পায়ের পাতার সমস্যা বাড়তে থাকায় ভারতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
কৃষ্ণা জানালেন, তিনি প্রায় এক মাস ধরে অনুশীলন করছেন। আগের মতো সমস্যা নেই। সমস্যা না থাকায় আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন কৃষ্ণা। মাঠে নামার সাহস বাড়ছে তার। ২০২২ সালে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সময় কৃষ্ণার শক্তি সামর্থ্য যতটা ছিল এবার ততটা না থাকলেও কৃষ্ণা নিজেও কোথাও কম দেখছেন না। ‘দেখুন ফিটনেস গত সাফের মতো নাই। তবে লড়াই করার মতো মানসিক, শারীরিক সব প্রস্তুতি রয়েছে। আপনি যদি তুলনা করেন, তাহলে বলব এখন যারা দলের সঙ্গে অনুশীলন করছেন তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেওয়ার মতোই রয়েছেন বললেন কৃষ্ণা।
তিনি বলেন, ‘আমার ফিটনেস আমি দেখেছি। দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছি। কোথাও মনে হয়নি আমি পিছিয়ে রয়েছি। ম্যাচ খেললে কনফিডেন্স লেভেল আরো বেড়ে যাবে।’ সাফে যাওয়ার আগে নারী দলকে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাতে পারেনি বাফুফে। বড় টুর্নামেন্ট খেলবে। অথচ নিজেদের পরখ করার সুযোগ পাচ্ছেন না সাবিনা খাতুন, সানজিদা, তহুরা খাতুনরা। ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা গেলে কৃষ্ণার অবস্থানটা আরও ভালো হতো। কারণ কৃষ্ণা এখন দলের সিনিয়র ফুটবলারদের এক জন।
গোলরক্ষক ইয়ারজান, গোলরক্ষক মিলি আক্তার, শাহেদা আক্তার রিপা, কোয়াতি কিসকু, মনুকি ইনজুরি কাটিয়ে এসেছেন, জাপান প্রবাসী সুমাইয়া রয়েছেন পাঠানো তালিকায়। গত সাফে ছিলেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন নেই, সিরাত জাহান স্বপ্না নেই। তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে ক্যাম্প ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সংসার জীবনে জড়িয়েছেন। গত সাফে কোচ ছিলেন গোলাম রাব্বানী ছোটন, এখন তিনি সেনাবাহিনীর কোচ। আর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বর্তমান হাই প্রোফাইল কোচ ইংল্যান্ডের পিটার বাটলার।
সূত্র: ইত্তেফাক