৫ আগষ্ট শুক্রবার রাত ১২ টার পর থেকে সরকার জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে অস্বাভাবিকভাবে। শনিবার আগের ভাড়ায়ই গণ পরিবহণগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেছেন।
এখনও মেহেরপুর জেলা বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তাকিয়ে আছে কেন্দ্রীয় ফেডারেশন ও সরকারের দিকে। মেহেরপুর জেলা মটর মালিক সমিতির নিয়োগকৃত স্ট্যাটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের উপর মালিক সমিতির কোনো নির্দেশনা আসেনি।
চুয়াডাঙ্গা টিকিট কাউন্টারের স্ট্যাটার মাষ্টার ছমির উদ্দীন ও কুষ্টিয়া মালিক সমিতির নিয়োগকৃত স্ট্যাটার মাষ্টার আক্তারুজ্জামান বলেন আমাদের উপর মালিক সমিতির কোনো নির্দেশনা না আসায় মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়াগামী যাত্রীর জন প্রতি ১০৯ টাকা, মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ৫২ টাকা আদায় করা হচ্ছে। হয়তোবা কাল থেকে নতুন ভাড়া তালিকা দিলে আমরা সেটাই ফলো করে ভাড়া আদায় করবো।
আলহাজ পরিবহনের চালক আবুল কাশেম বলেন, আজ থেকেই বাসের যাত্রী কমে গেছে। এখন বাসের ভাড়া বাড়লে যাত্রীদের সাথে বাসের সুপারভাইজার (ভাড়া আদায়কারী) সাথে ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকবে।
এদিকে আগামীকাল রোববার থেকে সরকারী, বেসরকারি সব অফিস আদালত ও স্কুল কলেজ খুলতে শুরু করেছে। ভাড়া বাড়লে সাধারণ যাত্রীদের সীমাহিন দূর্ভোগ বাড়বে।
মেহেরপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম রসুল বলেন, সরকার অস্বাভাবিক জ্বালানী তেলের মূল্য বাড়িয়েছে। গতবার জ¦ালানী তেলের মূল্য বাড়ানোর সময় গণ পরিবহণের ভাড়াও নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এবার হয়তোবা ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে বসে ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে।
বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে দেরি করলে ফেডারেশন হয়তো গাড়ি ঘোড়া বন্ধ রেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে তার পর ভাড়া নির্ধারণ করবে। যাই হোক আমরা আমাদের ফেডারেশন ও সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি।