বাংলাদেশে এটি জেমি সিডন্সের ‘দ্বিতীয় ইনিংস’। শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ জানান, তরুণ প্রতিভাবানদের সময় দিতে চান তিনি। তৈরি করতে চান নতুন সাকিব, তামিম, মুশফিকদের-
প্রশ্ন : বাংলাদেশে আবার কেন চাকরি নিলেন?
জেমি সিডন্স : আমি প্রস্তুত ছিলাম। বিসিবির কিছু পরিচালক, ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। এইচপি ও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যাটিং পরামর্শক হিসাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। জাতীয় দলেও কাজ করব, এমন কথা হয়েছিল। কিন্তু সেটা পূর্ণকালীন নাকি খণ্ডকালীন, নিশ্চিত ছিলাম না।
প্রশ্ন : দলে প্রতিভা কেমন দেখছেন?
সিডন্স : দলে ও দলের বাইরে ৬ ফুট উচ্চতার পেসার আছে কয়েকজন, যারা ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে। এটা দারুণ। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার আছে। আফিফ, মিরাজ, লিটন প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছে। তারা মানসম্পন্ন, মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে। জিততেই হবে, এমন চাপের মুখে দুই ম্যাচে তরুণরা দলকে জিতিয়েছে।
ক্রিকেটারদের নিয়ে আমার কাজ অর্ধেক হয়ে গেছে, কারণ তারা মানসম্পন্ন। এখানে আফগানদের সেরা তিন স্পিনারের মুখোমুখি হচ্ছে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ায় যখন যাবে, সেখানে আরও ভালো বোলারদের মুখোমুখি হতে হবে। এগোতে হবে আরও অনেক পথ। তরুণদের বিদেশেও ভালো করতে হবে।
প্রশ্ন : সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
সিডন্স : সিনিয়র ব্যাটারদের সঙ্গে কাজ মূলত ‘ফুটওয়ার্ক’ নিয়ে। তামিম তার সামনের পা আরও সোজা করতে চায়। আরও ৩-৪ বছর খেলতে চাইলে তার সামনের পা আরেকটু সোজা করতে হবে। তামিম যদি এলবিডব্লু না হয়, তাকে আউট করা কঠিন।
তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ কেউই শুরুতে ধারাবাহিক ছিল না। আমরা তাদের যে কোনো পর্যায়ে বাদ দিতে পারতাম। সাকিব যদি ভালো বোলার না হতো, তাহলে সে সাফল্য পাওয়ার আগে ব্যাটার হিসাবে বাদ পড়ে যেত। সে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে, তার সামর্থ্য ছিল। কিছু প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিভাবান দলে আছে, যারা ভবিষ্যতের তারকা। তাদের বাড়তি চাপ না দিয়ে সময় দেব। কোনো সন্দেহ নেই তারা নতুন সাকিব, তামিম হবে।
প্রশ্ন : বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা?
সিডন্স : দল নিয়ে পরীক্ষা করতে চাই না। আমাকে যে দল দেওয়া হবে, সেটি নিয়েই কাজ করব। টি ২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ক্রিকেটারদের উন্নতির জন্য কাজ করব। আমরা চাই সব ফরম্যাটের সব ম্যাচ জিততে।
প্রশ্ন : মাহমুদউল্লাহকে ছয়ে পাঠানো নিয়ে …
সিডন্স : আমাদের মানসম্পন্ন ক্রিকেটার আছে। তাই ব্যাটিংঅর্ডারে বদল আনতে সমস্যা নেই। সবাইকে তো আর তিন ও চারে সেট করতে পারব না। অনেকেই তিনে ব্যাট করতে চায়। সবারই একটা দায়িত্ব আছে। আফিফ ও মিরাজ সাত ও আট নম্বরে নেমে ভালো করছে।