টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। ১৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে ৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় পাকিস্তান।
১৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্টকে চার মারেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম ওভারে ৭ রান তুলে পাকিস্তান। এরপর দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ২ রান নেয় পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্টকে চার মারেন বাবর আজম। এরপর সিঙ্গেল নিয়ে রিজওয়ানকে স্ট্রাইক দেন বাবর। ওভারের তৃতীয় বলে চার মারেন রিজওয়ান। পরের বলে দুই রান নিয়ে শেষ বলে চার মেরে ওভার শেষ করেন রিজওয়ান। ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ২৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আসেন লকি ফার্গুসন। ওভারের প্রথ বলেই চার মারেন বাবর আজম। পরের বলে থার্ডম্যানে ঠেলে দিয়ে দুই রান নেন তিনি। পরের বলে আবারও থার্ডম্যানে ঠেলে এক রান নেন বাবর। ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল দিয়ে শেষ বল ডট দিয়ে ওভার শেষ করেন ফার্গুসন।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে টিম সাউদির প্রথম দুই বলে পর পর দুই চার মারেন রিজওয়ান। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন রিজওয়ান। চতুর্থ বল ডট দিয়ে পঞ্চম বলে চার মারেন বাবর। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওভার শেষ করেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন লকি ফার্গুসন। ওভারের চতুর্থ বলে পুল করতে গিয়ে টপ এডজ হয়ে চার আসে বাবরের ব্যাট থেকে। শেষ দুই বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওভার শেষ করে পাকিস্তান। ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। ওভারের পঞ্চম বলে চার মারেন বাবর আজম। শেষ বলে রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এই ওভারে ৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ইনিংসের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ইস সোধি। শেষ পাঁচ বলে পাঁচ সিঙ্গেল নিয়ে ওভার শেষ করে পাকিস্তান। নবম ওভারের ফের বোলিংয়ে আসেন মিচেল স্যান্টনার। এই ওভারে ৭ রান দেন তিনি। দশম ওভারের পঞ্চম বলে সোধিকে চার মারেন বাবর। শেষ বলে ২ রান নিয়ে ওভার শেষ করে পাকিস্তান। এই ওভারে ১২ রান দেন ইস সোধি। ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৮৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
১১ তম ওভারে জিমি নিশামের চতুর্থ বলে চার মারেন বাবর। ওভারের শেষ বলে দুই রান নিয়ে ৩৮ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন বাবর আজম। বিশ্বকাপে এটিই তার প্রথম ফিফটি। ১২ তম ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১০০ রানের জুটি পূর্ণ করেন বাবর ও রিজওয়ান।
ইনিংসের ১৩ তম ওভারের চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে দাঁড়িয়ে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন বাবর আজম। দলীয় ১০৫ রানে ৪২ বলে ৫৩ রান করে আউত হন তিনি। এরপর ওভারের শেষ বলে চার মেরে ওভার শেষ করেন ক্রিজে আসা মোহাম্মদ হারিস। শেষ ৭ ওভারে জয়ের জন্য ৪৪ রান প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের।
১৪ তম ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৩৬ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করে মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওভার শেষ করেন হারিস। ৩৬ বলে ৫০ রান করে ক্রিজে আছেন রিজওয়ান। ১৫ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ৯ রান দেন মিচেল স্যান্টনার। শেষ ৫ ওভারে ৩১ রান প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের।
ইনিংসের ১৬ তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন টিম সাউদি। এই ওভারে ৫ রান দেন সাউদি। ১৭ তম ওভারে প্রথম পাঁচ বলে ৫ রান দেন ট্রেন্ট বোল্ট। ওভারের শেষ বলে আউট হন রিজওয়ান। দলীয় ১৩২ রানে ৪৩ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। শেষ তিন ওভারে ২১ রান প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের।
ইনিংসের ১৮ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন লকি ফার্গুসন। রিজওয়ানের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শান মাসুদ। ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন মোহাম্মদ হারিস। এর পরের বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওভার শেষ করেন হারিস। শেষ দুই ওভারে ৮ রান প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের।
১৯ তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ৬ রান নিয়ে শেষ বলে আউট হন হারিস। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে দলীয় ১৫১ রানে ২৬ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ২০ তম ওভারের প্রথম বল ওয়াইড করলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। ৬ বলে ১ রান প্রয়োজন হয় পাকিস্তানের। পরের বলে ১ রান নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন শান মাসুদ। ফলে ৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয়ে ফাইনালে পা রাখলো পাকিস্তান।