গত বছর নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়েছিলেন শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। এতে ৫১ জন মুসল্লি নিহত হন। এই হত্যা মামলায় হামলাকারীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। আগামী মাসে তার সাজা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
ট্যারেন্টের মামলার রায় আগেই ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংকটের কারণে দেরি হচ্ছে বলে শুক্রবার নিউজিল্যান্ড সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। খবর এএফপি’র।
নৃশংস ওই বন্দুক হামলায় অন্তত তিনজন বাংলাদেশিও নিহত হয়েছিল। যেই আল নূরে বেশি হতাহত হয়েছিল, সেখানে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে ফেরেন ন নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা।
ভয়াবহ এই হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন চরমপন্থী ২১ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান যুবক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমসহ অনেকগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব মামলা কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছেও। কিন্তু কোভিড-১৯ সংকটের কারণে থমকে যায় ট্যারেন্টকে শাস্তি দেওয়ার ঘোষণাটা এখনও আসেনি।
এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব নেমে চলার বিধিও উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফের চালু হচ্ছে ট্যারেন্ট মামলার রায় কার্যক্রমও।
নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের জানিয়েছেন, ২৪ আগস্ট ঘোষণা করা হবে ট্যারেন্টের সাজা।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ম্যান্ডের বলেছেন, “নিউজিল্যান্ডে এখন কভিড-১৯ এর সংক্রমণ না থাকায় আমাদের আদালতও স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে। জনসাধারণ, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত ভিকটিম ও তাদের পরিবার আদালতের অধিবেশনে উপস্থিত হতে পারবেন।”
বিচারক জানিয়েছেন, সাজা ঘোষণার জন্য এরই মধ্যে তিনটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে আরও বেশি সময় ধরে এর শুনানি চলতে পারে।
নিউজিল্যান্ডে কোনও অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই। ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক জিম ইনস্ট্রাক্টর ট্যারেন্টকে তার বাকি জীবন কারাবাসেই কাটাতে হতে পারে।
সুত্র-যুগান্তর