দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের দ্বার পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। অর্থ বিভাগ থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে করা হয়েছে এই সেতু। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে ৮১৪ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ২৭৩ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটিরও বেশি টাকা টোল আদায় হয়েছে গত দেড় বছরে। আর ছয়টি কিস্তিতে মোট ৯৪৮ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৫ টাকা সরকারকে পরিশোধ করেছে সেতু বিভাগ।
আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নেওয়া ঋণের ৫ম ও ৬ষ্ঠ কিস্তির ৩১৫ কোটিরও বেশি টাকা গ্রহণ করেছেন।
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় মূলত অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আদায় হওয়া টোল থেকে গত ৫ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকা সরকারকে পরিশোধ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এরপর এই বছরের ১৯ জুন সেতু বিভাগ তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি বাবদ ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ টাকা পরিশোধ করেছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ কিস্তিসহ সেতু বিভাগ এই পর্যন্ত ছয়টি কিস্তিতে মোট ৯৪৮ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৫ টাকা সরকারকে পরিশোধ করেছে।
এই পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬শে জুন পদ্মা সেতু জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার উন্নয়নের সঙ্গে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। গত ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাণিজ্যিকভাবে ১ নভেম্বর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।