কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে দুইটি ডোঙা নৌকা ডুবিতে ৪ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় আরো ৯ জন অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার(০৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নদী সংলগ্ন সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হারান শেখের ছেলে জুয়েল (৩০), নজু’র ছেলে জাকির (২৫), জলিলের ছেলে শরিফুল (৩১) ও রঞ্জিতের ছেলে জুবা (৩২)।
উদ্ধারকৃত ব্যক্তিরা হলেন একই এলাকার তুকা প্রামাণিকের ছেলে জহির( ৩৩), কটার ছেলে বিপুল (৩০),আমজেদের ছেলে বকুল (৪০), শাহজামালের ছেলে সাজু (৩৫), ফজলের ছেলে তদে (৩২), আগা’র ছেলে সুলতান( ৩০), মানিকের ছেলে মনসুর (৩২),খবিরের ছেলে জামিন (৩০) ও শামিমের ছেলে রিফাত (১৫)।এদের সবার পেশায় দিনমজুর।
জানা গেছে,ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর থেকে ইঞ্জিল চালিত করিমনে কুমারখালীর ঘোষপুর এসে দুইটি ডোঙা নৌকায় পদ্মা নদী পাড় হয়ে উলু ঘাস কাঁটাতে চরে যাচ্ছিল ১৩ জন দিনমজুর। একটি নৌকায় ছিল ৯ জন ও অপর নৌকায় ৪ জন।নদীর কুল থেকে একটু দুরে যাইতেই পানির প্রবল স্রোতে নৌকা দুটি ডুবে যায়। এরপর ৯ জন সাঁতার দিয়ে নদীর কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৪ জন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বলেন,করিম গাড়িতে এসে ডোঙা নৌকায় নদী পাড়ি দিয়ে চরে উলু ঘাস কাঁটতে যাওয়ার সময় দুইটি নৌকা ডুবে যায়।এরপর সাঁতার কেটে ৯ জন নদীর কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেও এখন পর্যন্ত ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকৃতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ায় সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং এরা সবাই ভেড়ামারা উপজেলার জামালপুরের লোক।তিনি আরো জানান,নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস কে খবর দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা অমিয় কুমার বিশ্বাস জানান,সাদিপুর একটি রিমোর্ট এলাকা হওয়ায় আমরা এখনও ঘটনাস্থলে পৌছাতে পারিনি,তবে পাবনার ফায়ার সার্ভিস দল কাজ করছে।