হঠাৎ করেই শুক্রবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ফেসবুকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পরীমনি লেখেন— ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’
গভীর রাতে পোস্ট করা হলেও এ ঘটনা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না ঘটনা কতটা সত্য।
তবে পরে অবশ্য পরীমনি জানান, তিনি সংসার করছেন না। তাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে।
তবে এই দুঃসময় তার পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা এবং সাহস জুগিয়েছেন তরুণ অভিনেত্রীরা।
অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা ফারজানা বীথি লিখেছেন, ‘শান্ত থাকো।’
চিত্রনায়িকা নিশাত সালওয়ার লিখেছেন, ‘মানসিক শান্তির চেয়ে বড় কিছু নেই।’
পরীমনির এমন স্ট্যাটাসের অর্থ কী— সেটি বুঝে উঠতে পারেননি অন্তরাখ্যাত অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। তিনি লিখেছেন, ‘এর মানে কী?’
অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা মিশু চৌধুরী লিখেছেন, ‘পরী সুস্থ থাকুন, সুস্থ হয়ে বাঁচুন। জীবন অনেক সুন্দর।’
চিত্রনায়িকা সুবহা হুমায়রা পরীর উদ্দেশে স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন, ‘জীবনটা তোমার, জীবনের সমস্যাগুলোও, তোমার জীবনের অর্জনও তোমার। জীবনের যা সমস্যা হবে, সেটিও তোমার নিজেকেই সমাধান করতে হবে। কে কী বলল, তাতে কোনো কিছু তোমার আসেনি বা আসার কথাও না। তোমার জীবনে তোমার বাচ্চাটা আর তোমার নিজের নানা ছাড়া আপনজন কেউ-ই না, এখন মনে রেখো। মানুষ শুধু দূর থেকে তোমার সমস্যা দেখে মজা নিতে পারবে আর সমালোচনা করতে পারবে। তোমার জীবনের জন্য আর তোমার বাচ্চার ভালোর জন্য যা ভালো মনে হয়, তা–ই করো। দিনশেষে ভালো থাকা খুবই জরুরি।’
অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী লিখেছেন, ‘মাথা ঠান্ডা রাখো, বোন। আরেকটু ভেবে দেখার সুযোগ থাকলে একটু ভাবো, তোমার ছেলে রাজ্যর জন্য হলেও।’
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। গত চার মাস আগে তাদের ঘর আলকরে আসে ছেলেসন্তান রাজ্য।
সুত্র:যুগান্তর