চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামে ছাগল চুরির অভিযোগে রাজু খান নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুর ১ টার দিকে দিকে ছাগলসহ রাজুকে তার বাড়ি থেকে আটক করে নাটুদাহ ফাঁড়ি পুলিশ। এর আগে গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ছাগল চুরির ঘটনা ঘটে।
আটকের সময় আক্ষেপ করে রাজু বলেন, ‘পাঁচজন মিলে ছাগল চুরি করলাম। আর পুলিশ সবাইকে না আটক করে, শুধু আমাকে আটক করলো। আমি চাই সবাই আটক হোক।’
সরল স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্ত রাজু আরও বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রাম থেকে সাদা রঙের একটি ছাগল ইজিবাইক নিয়ে পাঁচজন মিলে চুরি করি। পরে ১২ হাজার টাকা ছাগলের দাম ধরে সহযোগী অন্যদের টাকা দিয়ে দেই এবং ছাগল নিয়ে বাড়ি আসি। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ আমাকেই ধরে এনেছে।’
ছাগল চুরির সময় আর কে কে ছিল- এমন প্রশ্নে রাজু বলেন, ‘একটা ইজিবাইক নিয়ে আমরা ছাগল চুরি করি। এসময় আমি, চারুলিয়া গ্রামের সালমান শাহ, ইজিবাইক চালক সুজন, জামিরুল ও নবাব একসঙ্গে ছিলাম।’
স্থানীয়রা জানান, ছাগল চুরির ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। গতকাল রবিবার রাতে একটা ছাগলসহ ফাঁড়ি পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তবে এই ছাগল চোরদের একটা গ্যাং আছে।
এ বিষয়ে নাটুদাহ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমীন বলেন, ‘গতকাল রবিবার বিকেলে শিবপুর গ্রামে ছাগল চুরি হয়। রাজু ও সালমান নামের দুজন চোরকে ধরে দামুড়হুদা মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে আর একজন চোর পলাতক রয়েছে বলেও জানান। এই চোরচক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান চোরদের বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে। ছাগল চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির ও নাটুদা ক্যাম্পের এ এস আই রুহুল আমিন কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।