টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান।
রোববার নামিবিয়ার বিপক্ষের ম্যাচটিই তার ক্যারিয়ারের শেষ।
হঠাৎ আসগর আফগানের অবসরের সিদ্ধান্ত তার ভক্তরা মেনে নিতে পারেননি। আফগানিস্তানের ক্রিকেটভক্তদের প্রশ্ন আচমকা কেন নিজেকে খেলা থেকে সরিয়ে নিলেন আসগর?
নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ভক্ত-সমর্থকদের সেই কৌতূহল মেটালেন আজগর।
সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে পরাজয়ের কারণে হতাশ হয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান এ আফগান তারকা।
সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন আজগর। একটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৭ বলে ১০ রান করে হারিস রউফের শিকারে পরিণত হন।
সেই ম্যাচে নিজের এমন পারফরম্যান্সে যারপরনাই হতাশ আসগর। নামিবিয়ার বিপক্ষে ৬২ রানের দুর্দান্ত জয়ও তার সেই ক্ষত পূরণ হয়নি।
তাই ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চোখ মুছতে মুছতে আসগর বললেন, ‘তরুণদের সুযোগ দিতে চাই। আমার মনে হয়, এটাই সরে দাঁড়ানোর সেরা সময়। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, এখন কেন অবসর নিলাম। আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না। আগের ম্যাচে (পাকিস্তানের বিপক্ষে) হেরে আমরা আশাহত হয়েছিলাম। তখনই অবসরের চিন্তা মাথায় আসে। দলের সঙ্গে অনেক স্মৃতি। বলা কঠিন। তবে অবসর তো নিতেই হবে।’
তবে আসগর আফগানের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
আসগরের অবসরের সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন খোদ অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি ও স্পিনার রশিদ খানও।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাবি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই হৃদয় ভেঙে দেওয়া পরাজয়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই আসগর আমাকে এসে জানান, নামিবিয়ার ম্যাচেই শেষবারের মতো মাঠে নামবেন তিনি। তার এমন সিদ্ধান্তে আমি একটা বড় ধাক্কা খেলাম। তবে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি তার ক্যারিয়ারের বিষয়ে সচেতন রয়েছেন। ’
প্রসঙ্গত, টি-টোয়েন্টিতে ২১.৭৯ গড় ও ১১০.৩৭ স্ট্রাইক রেটে আসগরের রান ১৩৫১।
ব্যাটারের চাইতে অধিনায়ক হিসেবে বেশি সফল আসগর। নিজের ১১৪ ওয়ানডের ৫৯টিতে এবং ৭৪ টি-টোয়েন্টির ৫২টিতে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দুটিই দেশের হয়ে রেকর্ড।
২০০৯ সালে বেনোনিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আসগরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এই সংস্করণে ১১৪ ম্যাচে ২৪.৭৩ গড়ে তার রান ২৪২৪।
২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে খেলা আফগানিস্তানের প্রথম টেস্টের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ৬ টেস্টে ৪৪ গড়ে রান করেছেন ৪৪০।