বাজরিকা পাখি পালনে শুরুটা অল্পতে হলেও এখন বাণিজ্যিক ভাবে পালন করছেন শান্ত। পাখি পালন করে পরিবারে সচ্ছলতা এনেছেন শান্ত।
জীবননগর উপজেলার বাকা ইউনিয়নের বাকা কবরস্থান পাড়ার মোঃ মজিবার রহমানের ছেলে রিপন হোসেন শান্ত প্রায় তিন বছর ধরে গ্রামে তাঁর নিজস্ব জায়গায় ছোট্র একটি খামার করে পাখি পালন করছেন।
বর্তমানে সেখানে বাজরিকা পাখি, লাউর সিরাজী, জ্যাকো বিন, রেন, ময়ুরী নামের কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ হাজার পাখি আছে।
বাড়ির মধ্যেই তিনি পাখির জন্য ওই খামার তৈরি করেছেন যা দেখে মনে হয় পাখির রাজ্য। শান্ত এবং তাঁর পরিবারের লোকজন খামারের সবকিছু দেখাশোনা করেন। খামার থেকে বর্তমানে প্রতিমাসে খরজ বাদ দিয়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার পাখি বিক্রয় করে আয় করে থাকেন।
শান্ত জানান, প্রায় তিন বছর আগে শখের বশে বাজরিকা পাখি পালন শুরু করেন এবং এতে ব্যাপক সফলতা পান। বর্তমানে এই বাজরিকা পাখি নিয়ে চলছে তাঁর বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রা। ভবিষ্যতে এই ব্যবসার আরও প্রসার ঘটাতে চান। এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘ভবিষ্যতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে একটি বাচ্চা ফোটানোর যন্ত্রে (ইনকিউবিটর) বাচ্চা উৎপাদনের চিন্তাভাবনা করব।’
শান্ত আরো জানান, বাজরিকা পাখির ডিম থেকে আমার এখানেই বাচ্ছা ফোটানো হয়। বাচ্চা ফোটানোর পর এক মাস বয়স হলেই এসব বাজরিকা পাখি বিক্রয় করা হয়। এ ছাড়া আমার এখানে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর আছে যা দেখতে অনেক সুন্দর এবং এগুলো প্রতি জোড়া ১০ থেকে ১২হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়। দিন দিন এই পাখির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,শান্ত বাজরিকা পাখির খামার দিয়ে এলাকায় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর খামারে উৎপাদিত বাজরিকা পাখি এবং বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর খামার দেখে এলাকার বেশ কিছু শিক্ষিত বেকার যুবক উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন।
জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তারিখ হোসেন বলেন, জীবননগর উপজেলার বেশ কিছু তরুন উদ্যোক্তারা সখ করে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও কবুতরের খামার তৈরি করেছে।যা বতমানে এটি একটি বাণিজ্যিক ভাবে হচ্ছে । শান্ত ‘আমাদের সহযোগিতা ছাড়াই বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন। যদি আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করে, তাহলে খামারের পাখিদের ইনজেকশন দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যা করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে।
তিনি জানান, হাঁস-মুরগির মতো পাখি পালন করে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী। বাজরিকা পাখির রোগব্যাধি কম। এ জন্য টিকা দিতে হয় না এবং কৃমির ওষুধও খাওয়াতে হয় না। অনেকে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বাজরিকা পাখি ও কবুতর পালনকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।তবে যদি কোন উদ্যোক্তা আমাদের সহযোগিতা চায় তা হলে তাদের সাবিক সহযোগিতা করা হবে।