ধরা যাক হঠাৎ পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা শুরু করল একটি গ্রহাণু। এসে আঘাত করল পৃথিবীতে।
ছোট একটি গ্রহাণুই যদি পৃথিবীতে আঘাত করে তাহলে এটি একটি পারমাণবিক বোমা হামলার সমান হবে।
এ বিষয়টি মাথায় রেখেই একটি মহাকাশ অভিযান চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তারা পরীক্ষা চালিয়েছে, যদি কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে তাহলে সেটিকে আটকানো যাবে কিনা বা সেটির কক্ষপথ ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে কিনা।
এর অংশ হিসেবে একটি ডার্ট মহাকাশযান পাঠানো হয়। এটি শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে ছুটে গিয়ে পৃথিবী থেকে ৬৮ লাখ মাইল দূরের এক গ্রহাণু পিণ্ডকে সফলভাবে আঘাত করে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ পরীক্ষা চালানো হয় মোটামুটি ১৬০ মিটার চওড়া একটি গ্রহাণুর ওপর, যার নাম দেওয়া হয়েছে ডাইমরফোস। দশ মাস আগে পৃথিবী থেকে রওনা দেওয়া নাসার ডার্ট মহাকাশযান সোমবার সফলভাবে ওই গ্রহাণুর গায়ে আছড়ে পড়ে এবং ধ্বংস হয়ে যায়।
মোটামুটি একটি ফুটবল স্টেডিয়াম আকারের ওই গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ডার্টের গায়ে বসানো ক্যামেরা প্রতি সেকেন্ডে একটি করে ছবি পাঠাতে থাকে পৃথিবীতে।
আকারে ভেন্ডিং মিশনের চেয়েও ছোটো ওই মহাকাশযানের ধাক্কায় গ্রহাণু ডাইমরফোসের গতিপথ আদৌ পাল্টানো গেল কি না, কিংবা কতটা পাল্টালো বিজ্ঞানীরা এখন সেটা দেখবেন টেলিস্কোপের মাধ্যমে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার মাইল বেগে ডার্টের ওই আঘাতে ডাইমরফোসেরগতি খুব সামান্য হলেও কমবে, সেটা হতে পারে প্রতি সেকেন্ডে এক মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পরিমাণ। তাতেও এর কক্ষপথে সুক্ষ্ম পরিবর্তন আসবে, যা দীর্ঘমেয়াদে এর গতিপথ পাল্টে দেবে।
নাসার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় ডার্ট মহাকাশ যানটি সফলভাবে গ্রহাণুটিতে আঘাত করছে। গ্রহাণুটির সংঘর্ষ হয় তখন এটি ধ্বংস হয়ে যায়।
সূত্র: রয়টার্স