করোনাভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ভয়ঙ্কর থাবায় ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে এই পৃথিবী। এই ভাইরাসের আতঙ্কে স্থবির হয়ে গেছে গোটা বিশ্ব।
ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত (সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা) আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার ৪ শতাধিক মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩ জনের।
তবে এবার পৃথিবীর গণ্ডি পেরিয়ে মহাকাশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনাই ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল সপ্তাহে একটি রকেট রাশিয়া থেকে মহাকাশে যাত্রা শুরু করে। এ সময় এতে এনার্জিয়া রকেট অ্যান্ড স্পেস করপোরেশনের ডেপুটি হেড অব এভজিনি মিকরিন ছিলেন। ফিরে আসার পর তার শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।
৬৪ বছর বয়সী ওই কর্মকর্তা যে বিমানে কাজাখস্তান পৌঁছান, সেই বিমানেই ছিলেন রাশিয়ার স্টেট করপোরেশন ফর স্পেস অ্যাকটিভিটিজের প্রধান দমিত্রি রোগোজিন। যিনি ওই রকেটের মহাকাশযাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। ওই মহাকাশযানে রয়েছে দুই রাশিয়ান ও এক মার্কিন নভোচারী।
যাত্রা শুরু আগে একটি মিটিংও করেন তারা। সেখানে অবশ্য নভোচারী কর্মকর্তাদের মাঝে কাঁচের দেয়াল ছিল। এই দমিত্রি রোগোজিন আবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ। তিনিই নভোচারীদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। সেই সময় নভোচারীদের মুখে কোনও মাস্ক ছিল না। ফলে করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মহাকাশের উদ্দেশ্যে ওই দিন পাড়ি দেন নাসার মহাকাশচারী ক্রিস ক্যাসিডি ও দুই রুশ মহাকাশচারী অ্যানাতলি ইভানিসিন ও ইভান ভাগনার। ছবিতে যদিও নভোচারীদের কাছাকাছি মিকরিনকে দেখা যায়নি। পরে তার পরপর দুটি পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। রাশিয়ার স্পেশ পারসোনেলদের মধ্যে ৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে মিকরিন কীভাবে আক্রান্ত হলেন তা জানা যায়নি। তার শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনি। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন