রশুন পেঁয়াজের দাম কমছেইনা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের সবজি ও তরকারি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি রশুনের দাম ১শ’ ৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১শ’৪০ থেকে ১শ’ ৬০ টাকা।
এদিকে ঝালের দাম গত সপ্তাহের চাইতে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা কেজি।
তাছাড়া অন্যান্য সকল প্রকার সবজির দাম কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চললেও বাজারের নতুন সবজি হিসেবে টমেটো কেজি প্রতি ১৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
মাংসের বাজার আগের মতোই রয়েছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫শ’ টাকা খাসির মাংস সাড়ে ৬শ’ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে।
এদিকে দেশী মুরগী সাড়ে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। তাছাড়া ফার্মের বিভিন্ন প্রকারের মুরগী কেজি প্রতি ১শ’৮০ থেকে ২শ’ ৫০ টাকা দরে বিক্রয় হতে দেখা গেছে।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পেয়াজ রশুন কিনতে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে সবজি বিক্রেতারা জানান পেঁয়াজ রশুনের আমদানিই নাই যে কারণে এর দাম বেশি পড়ছে।
তবে তারা জানান কিছুদিনের ভিতর রশুন পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে পারে।
এ দিকে দর্শনা প্রতিনিধি জানান, দর্শনা পৌরসভার দর্শনা রেল বাজারে তদারকি না থাকায় ইচ্ছা মত দাম নিচ্ছে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা।
দর্শনা রেল বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাইকারী দোকানিরা পেঁয়াজের দাম নিচ্ছে ১শ ৩০ টাকা থেকে ১শ ৪০ টাকা। আর খুচরা ব্যাবসায়ীরা দাম হাকাচ্ছে ১শ ৬০ টাকা থেকে ১শ ৭০ টাকা।
বাজারে তদারকি না থাকায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। সাধারণ ক্রেতার সাথে কথা বললে জানা যায়, পেঁয়াজের ঝাঁজে সারা বাংলাদেশের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়ছে। এ ভাবে পেয়াজের বাজার নিয়ত্রণ না করতে পারলে এক শ্রেনীর ব্যাবসাদাররা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাবে।
তাই সাধারণ মানুষ বাজার করতে গেলে বলে পেঁয়াজ আর রসুন কিনলে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে তা হলে আর বাজার কি দিয়ে করব। সাধারণ মানুষের দাবি দর্শনা বাজার তদরকি করলে পেঁয়াজের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে।
-গাংনী ও দর্শনা প্রতিনিধি