অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা কাটিয়ে লিড দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
কিন্তু পেসার খালেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর খুশির বদলে আফসোসটা বেড়ে গেছে বাংলাদেশ সমর্থকদের— সাকিব-সোহানের জুটিটা কেন বড় হলো না!
শনিবার রাতে অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩১ বলে ১২৩ রানের জুটি গড়েন সাকিব-নুরুল, যা চলতি টেস্টে দুই দলের সেরা জুটি। আর সে জুটির সুবাদে ১৬২ রানের লিড ডিঙিয়ে যায় বাংলাদেশ। উইন্ডিজদের ৮৪ রানের ছোট্ট টার্গেট দিতে পারেন টাইগাররা।
এত কম রানের টার্গেট অনায়াসেই পেরিয়ে যাবে স্বাগতিকরা, এমনটিই ধারণা ছিল সবার।
কিন্তু বল হাতে চমক দেখালেন পেসার খালেদ আহমেদ। তার আগুনঝরা বোলিংয়ে ৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ক্যারিবীয়রা।
ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে ১ রান, ওয়ানডাউনে নামা রায়মন রেইফারকে ২ এবং এনরুমাহ বোনারকে শূন্য রানে আউট করে দেন খালেদ।
খালেদের দুর্দান্ত বোলিং করে অবিশ্বাস্য কিছুর আশা দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্ল্যাকউডকে নিয়ে অপর ওপেনার জন কেম্পবেল জারমাইন দিনের বাকি সময়টি পার করে দেন। কেম্পবেল ২৮ এবং ব্ল্যাকউড ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
ফলে খালেদের চমকে যেন আফসোস বাড়ল-ই। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকের মতে, সাকিব-নুরুলের জুটি আরেকটু বড় হলে এবং টেলএন্ডারদের থেকে রান আসলে টার্গেট ১৫০ ছাড়াতে পারতেন টাইগাররা।
৯ রানে টপঅর্ডারের ৩ ব্যাটার হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই টার্গেট পার করতে বেগ পেতে হতো অবশ্যই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বাংলাদেশ শিবিরও জয়ের স্বাদ নিতে পারত।
তৃতীয় দিন শেষে জয়ের বন্দরে পৌঁছতে আর মাত্র ৩৫ রান লাগবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সে লক্ষ্য পূরণে হাতে আছে আরও সাত উইকেট।