বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেছেন, প্রতিদিন একটি করে ভালো কাজ করতে হবে। প্রতিদিন বলতে হবে আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।
গতকাল শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে কালের কণ্ঠ শুভ সংঘ আয়োজিত “আগামীর বাংলাদেশ ও তরুণদের পদক্ষেপ” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যার মধ্যে দেশপ্রেম ও সত্যিকারের ভালোবাসার আছে সে কখনো খারাপ হতে পারে না। তাই আসুন আমরা প্রতিদিন একটি করে অন্তত ভালো কাজ করতে শিখি। আর এভাবেই এই ভালোবাসার মধ্য দিয়ে দেশকে ভালোবাসা যায়, সমাজকে ভালোবাসা যায়, পরিবারকে তথা সকলকেই ভালোবাসা যায়।
তরুণদের এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে এই কথা সাহিত্যিক বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তরুণদের একটু বেশিই পছন্দ করি। তবে বৃদ্ধদের একটু কম পছন্দ করলেও তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমার অনেক বেশি। কারণ, বৃদ্ধারা তাদের যা দেওয়ার এ সমাজকে দিয়েই দিয়েছে। তবুও তাদের জ্ঞান আহরণ করে আমাদের এই তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। কারণ, তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই আগামীতে নেতৃত্ব দেবে। তরুণদের আলোয় আলোকিত হতে হবে।
নারীরা যদি না জাগে তাহলে এ পৃথিবী জাগবে না। নারী না থাকলে পুরুষ তার অস্তিত্ব খুঁজে পেত না। নারী জন্ম দিতে পারে তারা আমার মায়ের জাতি। তাই প্রতিটি মানুষকে নারীকে সম্মান করতে হবে। কেননা, এই নারী কখনো মা, কখনো বোন আবার এই নারীরাই প্রিয়জন। নারীদের সম্মান না করলে সে সমাজ কখনো উন্নতি করতে পারে না। তাই তিনি নারীদের জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানান।
আলো দিয়ে ঘর ভরতে চাই উল্লেখ করে কালের কন্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, শুভ কাজে সবার পাশে এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা শুভসংঘের মধ্য দিয়ে আলো দিয়ে জয় করবো, বুদ্ধি দিয়ে জয় করবো, আর তাই শুভসংঘের পাশে সবাইকে হাতে হাত রেখে একত্র হয়ে সকল ভালো কাজের সাথে সারথি হওয়ার আহ্বান জানান।
সাহসী পপির সাহসের গল্প তুলে ধরে এই কথা সাহিত্যিক বলেন,. এখানে বসে আছে যে পপি তাকে দেখে অনেকটাই নিরীহ মনে হচ্ছে। তবে তার মনের মধ্যে আগুন জ্বলে। আর তাই আগুন জ্বলে বলেই তো সে সাহসী হয়ে ওঠে। ইভটিজারকে দৌঁড়ে জাপটে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারে। আর তার এমন সাহসিকতা আমাদের কালের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল। এই সাহসী পপিকে দেখে আরও অনেক পরি সাহসী হবে উজ্জীবিত হবে। আমরা এই সাহসী পপির পড়ালেখার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। সে যতদূর পর্যন্ত পড়ালেখা করবে এই কালের কণ্ঠ, এই বসুন্ধরা গ্রুপ এবং এই শুভসংঘ তার পাশে থাকবে। যদি সে পিএইচডি ডিগ্রিও করতে চাই আমেরিকায় গিয়ে তাও আমরা তার সাথে সারথি হিসেবে থাকতে চাই।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মনজুর কাদিরের সভাপতিত্বে ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কালের কণ্ঠের কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যাক্ষ প্রফেসর আনছার হোসেন, আইসিটি বিভাগের প্রধান লাল মোহাম্মদ প্রমুখ।
কালের কণ্ঠ শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ কুষ্টিয়ার সভাপতি নীলিমা বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শম্পা আফরীন, প্রচার সম্পাদক এস এম জামাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক যুথিকা রানী বিশ্বাস, নির্বাহী সদস্য গোলাম মোস্তফা অন্তুসহ কালের কণ্ঠ শুভ সংঘ কুষ্টিয়ার সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কলেজ আঙ্গিনায় একটি বকুল ফুলের চারা রোপণ করেন কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।