মেহেরপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতি হঠাৎ করে নতুন সমীকরণ দেখা গেল। আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ত্যাগী নেতারা এক মঞ্চে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপির বিরুদ্ধে বিষদগার হয়ে উঠলেন।
স্থানীয় সরকারের উন্নয়নে বিশেষ করে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার উন্নয়ন কাজের বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয়র সরকারের তিনটি বিভাগেই আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও তারা প্রতিমন্ত্রীর দ্বারা বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন।
গত বুধবার বিকালে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারে মেহেরপুর শহর আওয়ামীলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভায় নেতারা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে এক হাত নেন। বক্তারা যার যার স্থান থেকে প্রতিমন্ত্রীর বিষদগার করেন। একই সঙ্গে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকেরও সমালোচনা করে তাঁকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে মুজিবনগর অধ্যূষিত মেহেরপুরে এই প্রথম একজন প্রতিমন্ত্রী উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। যা মেহেরপুর বাসীর জন্য গর্বের বিষয় ছিল। আওয়ামীলীগের গর্বের ছিল। কিন্তু একটি বছরের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের কোনঠাসা করে তোলায় তাদের অন্তর্জালা সেদিন প্রকাশ্য রুপ নেয়। শতশত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রকাশ্য ত্যাগী নেতারা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে তার ভুল শোধরানোর আহবান জানান। না হলে অবাঞ্চিত করার হুঁশিয়ারি দেন।
নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কৌশলে প্রতিমন্ত্রী রাজত্ব করতেই পারতেন। কিন্তু তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি ভরসা না রেখে আমলাদের উপর ভরসা করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজ দলীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ডিসি এসপিকে নিয়ে মঞ্চে উপবিষ্ট থাকেন। যেগুলো বিভিন্ন সময় রাজনীতির টেবিলে সমালোচার জন্ম দেয়।
সকল সমালোচনা, বৈরিতা দুর করে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন আমরা এমনটা প্রত্যাশা করি। সকল কিছু ভলে জেলার উন্নয়নে , এলাকার উন্নয়নে তিনি ভূমিকা রাখবেন, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম কোন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জেলাকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবেন এমনটা প্রত্যাশা করি।
মেপ্র/সম্পাদকীয়
আরো পড়ুন: প্রতিমন্ত্রীকে অবাঞ্চিত করার হুঁশিয়ারি, ডিসিকে নিরপেক্ষ থাকার আহবান