ঢাকের বাদ্য আর আবীর খেলার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে বিসর্জন হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে এই পূজার উৎসব শুরু হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিজয়ী দশমীতে বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জনে সমাপ্তি হলো দুর্গাপূজার। বিকেল থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা ছিলো মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
তবে প্রতিমা বিসর্জন কালে ভৈরব নদে কচুরিপানা নিয়ে সনাতন ধর্মাবলীদের মধ্যে কিছুটা চাপা অসন্তোষ লক্ষ্য করা যায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর শহরের শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, নায়েববাড়ি মন্দির, হরিসভা মন্দির,বকুলতলা পূজা মন্দির, হরিজন বালক পূজা মন্দির, সদর উপজেলার গোভীপুর বায়পাড়া দূর্গা মন্ডপ, গোভীপুর দাসপাড়া দূর্গা পূজা,বামনপাড়া সর্বজনীন কালী মন্দির, পিরোজপুর দূর্গা মন্দির, পিরোজপুর কালীমাতা দাসপাড়া মন্দির,মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, বাবুপুর সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, কোমরপুর সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, মোনাখালী পূজা মন্ডপ, রতনপুর দাসপাড়া পূজা মন্ডপ, বল্লভপুর পূজা মন্ডপ, এবং দারিয়াপুর পূজা মন্ডপ মেহেরপুর ভৈরব নদে বিসর্জন দেয়া হয়। এছাড়াও গাংনীতে কাজলা নদে বিভিন্ন মন্ডলের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
উল্লেখ্য এই বছর মেহেরপুর জেলায় মোট ৪৩ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১৪ টি, গাংনীতপ ২২ টি এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৭ টি মণ্ডপ ছিল। কোনরকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজার সম্পন্ন হওয়ায় মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জেলা বাসি ও জেলা প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কত জ্ঞাপন করেছে।