হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদোৎসব কড়া নাড়ছে বাঙালিদের দরজায়। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এরই মধ্যে প্রতিমালয়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। শিল্পীদের তুলির ছোঁয়ায় পূর্ণরূপ পাচ্ছেন দৃষ্টিনন্দন সব প্রতিমা।
উৎসবের পূর্ণতা পায় যাদের হাতে, সেই প্রতিমাশিল্পীরদের এখন সময় কাটছে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে।
দক্ষ প্রতিমা কারিগররা দিন-রাত পুজা মন্ডপে নিরলসভাবে কাজ করেই চলেছেন। এসব শিল্পীদের হাতের শৈল্পিক ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠছেন প্রতিমা।
মায়ের প্রতিমা গড়তে গিয়ে দম ফেলার ফুরসত নেই এসব কারিগরদের। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ আর মহিষাসুর সঙ্গে দেবীর বাহন সিংহ এখন হয়ে উঠেছেন জীবন্ত।
মেহেরপুর জেলায় এবছর ৩৮ টি পুজা মন্ডপ তৈরী হয়েছে।
আগামি ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার ভোরে চণ্ডীপাঠ শোনার অপেক্ষায় হিন্দু ধর্মালম্বী ভক্তকূল।
শিশির ভেজা দুর্বা ঘাসের ওপর ঝরে পড়া শিউলি কুড়ানোর সময়টায় মাতৃবন্দনায় মিলিত হবেন হিন্দু ধর্মালম্বী ভক্তকুল।
তাই উৎসবের পূর্ণতা পায় যাদের হাতে, সেইসব প্রতিমাশিল্পীর এখন কাটছে ব্যস্ত সময়। প্রতিমাশিল্পীদের ব্যস্ততা টের পাওয়া যায় মেহেরপুর শহরের কালীমন্দির, গাংনী শহরের কালীমন্দিরসহ জেলার বিভিন্ন পুজা মন্ডপে গিয়ে। প্রতিমাশিল্পী তৈরি করা হয়েছে দুর্গার কাঠামো।
সহযোগীরা ব্যস্ত লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ প্রতিমা গড়তে। ব্যস্ততার এ চিত্র চোখে পড়ে নগরের সব প্রতিমালয়ে।
মেহেরপুর বিভিন্ন এলাকায় ৩৮ টি প্রতিমালয় রয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুর শহরের কালী মন্দির, হরিসভা, হালদারপাড়া সার্বজনীন পুজা মন্ডপ, বামনপাড়া পুজা মন্ডপ, গাংনী উপজেলা শহরের কেন্দ্রীয় পুজা মন্ডপ, চৌগাছা দাসপাড়া পুজা মন্ডপ, গাংনী দাসপাড়া পুজা মন্ডপ, আমতৈল পুজামন্ডপ, মানিকদিয়া পুজা মন্ডপ, সিমুলতলা পুজা মন্ডপ, বেতবাড়িয়া, বাওট, বামন্দী ষোলটাকা, চেংগাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি করে প্রতিমালয় আছে।
পঞ্জিকা অনুসারে, ১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২ অক্টোবর সপ্তমী, ৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ৪ অক্টোবর মহানবমী ও ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী।