গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১৪ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১১ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০০০ সালের ২২ জুলাই কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময় ২০ জুলাই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দেন।
ওই বছরের ২ জুলাই আদালত মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন। ৮৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে নির্ধারিত পদ্ধতি মোতাবেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেওয়া হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও ওই ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
এদিকে, ৭৬ কেজি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ওই সময় কোটালীপাড়া থানার এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলা করেন। ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির তৎকালীন এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।
এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
উভয় মামলার প্রধান আসামি ছিলেন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ারুল হক চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাকে উভয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।