কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের সাতগাছিতে ২০০৪ সালে কিছু যুবক একত্র হয়ে সূর্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ প্রতিষ্ঠাতা করে পরে ২০১৬ সালে মিরপুর উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিষ্ট্রেশন হয় যার নাম্বার ০৭।
তবে সমবায় অফিসের নিয়ম নীতি কে উপেক্ষা করে বিভিন্ন মাধ্যমকে ম্যানেজ করে উপজেলার ৬ টির অধিক ইউনিয়ন এর গ্রামের অসহায় প্রায় ৩০০ মানুষ কে সুদের বিনিময়ে ঋণ দেন এই সমবায় লিমিটেড যা সম্পূর্ণ অবৈধ। সমবায় অফিস সূত্রে জানাযায় শুধু সদস্যদের মধ্যে অর্থ লেনদেন করা যাবে, কিন্তু সূর্য ব্যবসায়ী সমবায় লিমিটেড সদস্য বাদেও একাধিক জনের নিকট চড়া সুদে ঋণ দেন।
পরবর্তীতে গরিব মানুষগুলো সময় মত সুদের কিস্তি দিতে না পারলে উক্ত সমবায় লিমিটেডের সদস্যরা বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয় এবং জোরপূর্বক অর্থ আদায় করে নিঃস্ব করে দিচ্ছে হতদরিদ্রদের। এছাড়া এই সমবায় লিমিটেডের পোড়াদহ ইউনিয়নে কার্যক্রম করার অনুমতি না থাকলেও তারা দৈনিক, মাসিক ও বাৎসরিক হিসেবে ঋণ দিয়ে আসছে।
উক্ত ঋণ বা সুদের টাকা পরিশোধ করতে অনেকেই খুইয়ে দিচ্ছে গরু-ছাগল ও জমি,যার কারণে দরিদ্ররা হয়ে যাচ্ছে হতদরিদ্র। তবে হাজরাহাটির সাতগাছির একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানাযায় স্থানীয় রফিকুল ও আব্দুর রহিম এর নেতৃত্বে বেশকিছু যুবক আশেপাশের কয়েকটি ইউনিয়ন এর বিভিন্ন এলাকাতে লক্ষ লক্ষ টাকা চড়া সুদে দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের টাকা দিয়েছে যা সুদ ও আসল পরিশোধ করতে অসহায় দরিদ্রদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে সূর্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি রফিকুল ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন আমরা উপজেলা সমবায় অফিস কে অবগত করে ঋণ দিয়েছি, এছাড়া সদস্য বাদে যাদের ঋণ দিয়েছে তাদের খুব শিগ্রই সমিতির সদস্য করে নিবো। এসময় তারা আরো বলেন আমাদের কিছু ভুল ও অনিয়ম আছে কিন্তু সেগুলো খুব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠবো।
এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলা সমবায় অফিসার মোছাঃ নাজবিন আখতার বলেন একটা সমবায় সমিতি কখোনো সদস্য বাদে ঋণ প্রদান করতে পারেনা,যদি সূর্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য হয় তাহলে সমবায় সমিতির আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।