জ্বর ও প্রসাবের সমস্যার কথা বলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক বৃদ্ধের (৮০) করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
জানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৮০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ শুক্রবার প্রথমে হাসপাতালের আউটডোর ইউনিটে চিকিৎসার জন্য আসেন। জ্বর ও প্রসাবের সমস্যার কথা বলায় তাকে হাসপাতালের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। শারীরিক সমস্যা অনুযায়ী তাকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তবে পরে তাকে এক্স-রে করানো হলে করোনার কিছু উপসর্গ দেখতে পান চিকিৎসকরা। করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হওয়ায় সাধারণ ওয়ার্ড থেকে করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সোমবার (২০ এপ্রিল) তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও অন্য রোগীসহ অনেকেই তার সংস্পর্শে আসেন। নমুনা পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এবার ওই রোগীর স্ত্রী ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার হাসপাতালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ১৭ এপ্রিল ওই রোগী জ্বর ও প্রস্রাবের সমস্যার কথা বলে হাসপাতালে এলে তাকে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তিনি করোনা আক্রান্ত তা বুঝতে আমাদের দেরি হয়ে যায়। কারণ তিনি রাজশাহীর বাইরে থেকে এসেছেন বা বাইরে থেকে আসা কারও সংস্পর্শে গিয়েছেন এমন কোনো তথ্য ভর্তির সময় তিনি আমাদের জানাননি। তিনি জ্বর ও প্রস্রাবের সমস্যার কথা বলে ভর্তি হয়েছিলেন। সেভাবেই তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তবে তার এক্স-রে করার পর করোনার উপসর্গ কিছুটা বোঝা যায়। পরে তাকে করোনা ওয়ার্ডে পাঠানোর পর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে করোনা শনাক্ত হয়।
ডা. আজাদ আরও বলেন, এই রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত ভালো আছেন। সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে তার স্ত্রী এবং ছেলেও রয়েছেন। তাদের আজ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা হবে তাদের অবস্থা। এছাড়াও সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে আরও যে ৯ জন ভর্তি রয়েছেন তারা সুস্থ আছেন। তাদের নমুনায় করোনা পাওয়া যায়নি।
এদিকে ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক-নার্সসহ কমপক্ষে ৪০ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এর সংখ্যা উল্লেখ করেননি রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ওই রোগী সাধারণ ওয়ার্ডে থাকায় অনেকেই তার সংস্পর্শে এসেছেন। যারা তার সংস্পর্শে এসেছেন তাদের প্রত্যেককে কোয়ারেন্টিনে রাখার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি। যারাই সংস্পর্শে এসেছেন সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন