গতকাল শুক্রবার মেহেরপুরের ‘আঞ্চলিক ভাষা’ গ্রুপে মেহেরপুর জেলাকে নিয়ে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন মো: মেহেদী হাসান নামের এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়। তার এই আবেগঘন স্ট্যাটাসটি ইতিমধ্যে অনেক পজেটিভ কমেন্ট পড়েছে। বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে।
তার স্ট্যাটাস হুবুহু তুলে ধরা হলো।
“আমি আজ খুবি দুঃখের সাথে কিছু কথা বলতে চাই আমার মেহেরপুর বাসীকে। আমার বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার গাড়াডোব গ্রামে রাইচ মিল পাড়ায়। আমি ২০০৮ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হই বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসেবে। আমি বিকেএসপি থেকে বের হয়েছি ২০১৩ সালে এবং বের হয়ে যোগদান করি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। আমার বাস্কেটবল খেলার বয়স প্রায় ১৩ বছর। আমি দেশে বিদেশে কম বেশি অনেক খেলায় খেলেছি। আমার এত কিছু বলার কারণ হলো একটায়।সেটা হলো আমি আজকে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর হয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকি এবং সেখানে বাংলাদেশের প্রতিটা জেলা উপস্থিত ছিলো। ছিলো প্রতিটা জেলার খেলোয়াড় এবং জেলার নাম লেখা ব্যানার। শুধুমাএ একটা জেলা ওখানে ছিলোনা, পড়ে ছিলো পায়ের নিচে। গড়াগড়ি করছিলো ঐ জেলার নাম লেখা ব্যানারটা। আর সেই জেলার নামটা হলো আমার প্রানের জেলা মেহেরপুর।এমন অবস্থায় আমার চোখে পড়ে আমার প্রানের জেলার নাম লেখা ব্যানারটা।সাথে সাথে দৌড়ে যায় ব্যানার টা তুলতে। ব্যানারটা তুলে নিজই একটা ছবি তুলে ফেললাম।কি করবো আমার জেলায় তো আর কোন খেলাধুলায় অংশগ্রহন করে না।মেহেরপুর জেলায় কোন খেলাধুলাও হয় না। সব জেলা যখন সব খেলায় পার্টিসিপেট করে তখন মনে মনে নিজের জেলা টা খুজি।কিন্তুু আমার এই ১৩ বছর খেলাধুলার ক্যারিয়ারে জাতীয় পর্যায়ে কোথাও খুঁজে পায়নি। আমার মেহেরপুর জেলাকে। হাতে গোনা কয়েকজন আছে যারা বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে। তাও আবার সে ভালো কিছু করলে নাম হয় বিকেএসপির। একমাত্র ইমরুল কায়েস ভাই কিছু করলে নাম হয় মেহেরপুর জেলার। কিন্তুু ইমরুল কায়েস ভাইকে দিয়ে আর কতদিন। আমার মেহেরপুর জেলার সকল মানি গুনি এবং খেলাধুলা প্রেমিদের কে বলবো এখনো সময় আছে সামনে তরুণ প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে প্রতিটা খেলার আয়োজন করুন প্রতিটা খেলার জন্য জায়গা তৈরী করুন বাদ যাবেনা একটা খেলাও। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, এ্যথলেটিকস, সাঁতার, বাস্কেটবল, ভলিবল, কাবাডি, হ্যাণ্ডবল সবগুলো খেলা থাকবে। বাংলাদেশের যে কোন খেলা হোক না কেন সবার আগে আগে থাকবে আমার মেহেরপুর জেলার নাম।
আমাদের এমপি মহোদয় এর কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে। আপনি আমাদের মেহেরপুর জেলার অভিভাবক। আপনি মেহেরপুর জেলার খেলাধুলার বিষয়ে একটু দেখবেন। আপনি আমাদের মেহেরপুর জেলাকে খেলাধুলার দিক দিয়ে অন্য এক মাএায় নিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। আমরা এই প্রত্যাশায় থাকবো।”