মেহেরপুর সোনালী ব্যাংকের আঞ্চলিক অফিসের কার্যক্রম বন্ধথাকায় টাকা উত্তল ও জমা ছাড়া কোন সেবা সঠিক ভাবে পাচ্ছেনা গ্রাহকরা। ঋণকার্যক্রম, ব্যবসায়ীক ঋণ, প্রকল্প ঋণ সহ যেকোন প্রকার মাঝারি ধরনের ঋণের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার আঞ্চলিক কার্যলয়ের দারস্থ হতে হচ্ছে।
আর কার্যক্রম না থাকায় ঋনপ্রদান সহ ছোট খাটো কোন বিষয়ে সিদ্ধন্ত নিতে হলে ছুটতে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিত কার্যালয়ে। অথবা পত্র পাঠিয়ে দিনের পর দিন সিদ্ধান্তর জন্য আপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের বিঘ্ন ঘটছে। আর গ্রহক হয়রানির সাথে সাথে ব্যাংকের সেবা প্রদানের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ দাবি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের।
মেহেরপুর সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায় ১৯৮৪ সাল মেহেরপুর জেলার ৮ টি শাখা নিয়ে সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব ভবনে আঞ্চলকি কায়লয়ে কার্যক্রম শুরুর হয়। কিন্তু ২০০৬ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের সময় আঞ্চলিক কার্যলয়ের সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসময় সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্বে থাকা আবু জাহাঙ্গীর তৎকালনি বিএনপি সমার্থিত সিবিএ সংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়ে জোর করে তার পদ ধরে রাখেন।
এ বিষয়টি সমাধানের জন্য সোনালী ব্যাংকের খুলনা বিভাগীয় কার্যলয়কে জানালে খুলনা বিভাগীয় কার্যলয় ২০০৬ এর ৩০ নভেম্বর মেহেরপুরের আঞ্চলিক কর্যক্রম বন্ধ করে চুয়াডাঙ্গার সাথে যুক্ত করে দেয়। এর পর থেকে পর্যন্ত অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে মেহেরপুর আঞ্চলিক কার্যলয়ের দ্বিতলা ভবন সহ আসবাব পত্র। ব্যাংকিং সেবা পেতেও গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
তৎকালিন আওয়ামীলীগ সমার্থিত সিবিএ নেতা আব্দুল হাকিম বলেন, সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ীক ঋণ, প্রকল্প ঋণ সহ যেকোন প্রকার মাঝারি ধরনের ঋওণর জন্য চুয়াডাঙ্গাতে দৌড়াতে হয়। দপ্তরিক কোন ফাইলে কোন প্রকার সামান্ন ক্রটি হলেও চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক অফিসে দৌড়াতে হয়। অথবা পত্র দিয়ে সেই পত্রের অপেক্ষায় থাকতে হয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার জটিলতায় সময় অপচয় হয়। ব্যবসাজনীত বিষয়ে ক্ষতির সম্মুখিন সহ প্রকল্প গ্রহণ নিধারিত সময়ে সম্ভব হয়ে উঠনা।
মেহেরপুরের ব্যবসায়ী ও সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক সাইদুর হোসেন বলেন, একটি চক্রন্তকারী মহল সুপরিকল্পিত ভাবে সোনালী ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যলয়টি বন্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে ব্যাংকের গ্রাহকদের সুবিধা প্রদান ও ব্যাংকে বানিজ্য মুখি করে তোলার জন্য আঞ্চলিক আফিসটি দ্রুত স্থাপনের প্রয়োজন।
মেহেরপুর সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপল অফিসার মো: কামাল হোসেন বলেন, উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভাব নয়।