সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেম করার বড় জ্বালা। যাদের স্বামী বা স্ত্রী সাংবাদিক, তাদের মুখে প্রায়শই এই কথা শোনা যায়। সাংবাদিক মাত্রই নাকি হামবড়িয়া ভাব থাকে। সবসময় জ্ঞান জাহির করার চেষ্টা করে।
তাই সাংবাদিকদের স্বামী বা স্ত্রী সবসময় অন্যকে বলেন, ‘আর যে পেশার মানুষকে বিয়ে কর, সাংবাদিককে নয়।’
সমীক্ষা বলছে, অন্য যে কোনো পেশার মানুষের চেয়ে সাংবাদিকরা প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে অনেক এগিয়ে। কারণ পেশার খাতিরে সাংবাদিকদের নানা সময় নানা জায়গায় যেতে হয়। তাই রাস্তাঘাট থাকে তাদের নখদর্পণে। কোনো জায়গার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তাদের ঠোঁটস্থ থাকে উত্তর। তার উপর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিশে কোথায় কী বলতে হবে, কোথায় কীভাবে থাকতে হবে, তা নিয়ে সম্যক ধারণা তৈরি হয়ে যায়। ফলে যেখানেই আপনি তাকে নিয়ে যান না কেন, অস্বস্তিতে তো পড়বেনই না, বরং সাংবাদিক সঙ্গী থাকলে আপনার মর্যাদাও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।
সাংবাদিকতার পেশায় সম্মান আছে। কিন্তু টাকা নেই। অন্য অনেক পেশার তুলনায় সাংবাদিকদের পারিশ্রমিক বেশ কম। স্রেফ নেশার তাগিদেই সংবাদ সন্ধানে ছুটে যায় তারা। টাকাটা তাদের কাছে বড় ব্যাপার নয়।
সাংসারিক জীবনেও এই মনোভাব কাজ করে। ফলে স্বামী বা স্ত্রীর আয় নিয়ে এদের কোনো মোহ থাকে না। এমন সঙ্গী পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার। তার উপর সাংবাদিকদের পেশার তাগিদে খাটতে হয় প্রচুর। ইচ্ছা-অনিচ্ছার উর্ধ্বে গিয়ে পরিস্থিতির চাপে পড়ে কঠোর পরিশ্রমী হয়ে ওঠে তারা।
সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি পরিশ্রমী হয়, তবে তো সবারই লাভ। তার উপর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক না গলানোর মতো সময় তাদের থাকে না।
সাংবাদিকরা চান বা না চান, অনেক রকম কাজ তাদের শিখতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো সাংসারিক জীবনেও উপকারে লাগে। এছাড়া পেশার খাতিরে তাদের পড়াশোনাও করতে হয় প্রচুর। তাই যে কোনো বিষয়ের উপর মোটামুটি জ্ঞান তাদের থাকে।
এখানে সুবিধা দু’টি। এক তো আপনি কোনো বিষয় না জানলে সঙ্গীর থেকে জেনে নিতে পারবেন। কোথায় কখন কী কাজে লেগে যায়, বলা তো যায় না। আর দ্বিতীয়ত, আপনি কোনো বিষয়ে আলোচনা করার মতো লোক পেয়ে যাবেন।
এছাড়া পেশার খাতিরেই বিশ্বাসী হন সাংবাদিকরা। সংবাদ উৎস সবসময় গোপন রাখতে হয় তাদের। এটা ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে বেশি।
– এমপি ডেস্ক