বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে রেখেই হাজতে রাত কাটাতে হল আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর গ্রামের সাজুকে। প্রেমিকা সাজুকে স্বামী হিসেবে না পেলেও মামলা ঠুকে দিয়ে থানায় বাসর করিয়ে ছাড়লো প্রেমিককে। শনিবার ও রবিবার দুইদিন কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যায় মোটর মেকানিক সাজুর শরীরের ওপর দিয়ে।
জানা গেছে, পৌরসভার গোবিন্দপুর গ্রামের দোয়ারপাড়ার মোটর মেকানিক সাজুর সাথে প্রতিবেশী এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাজু তাদের প্রেম পর্বকে দীর্ঘায়িত করতে চাইলেও প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। সাজু বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। বরং তাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে মেয়ে দেখাশোনার কাজ করছিল সাজুর পরিবার। ঘটনা টের পেয়ে যায় প্রেমিকা। সে কালক্ষেপন না করে গত শুক্রবারে বিয়ের দাবিতে সাজুর বাড়িতে গিয়ে উঠে পড়ে। বিপাকে পড়ে যায় সাজুর পরিবার।
এক পর্যায়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করিয়ে প্রেমিকাকে আপাতত তার পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় সাজুর পরিবার। এবং পরদিন শনিবারে চুপিসারে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর গ্রামে বিয়ে করে ফেলে সাজু। বিয়ে করে নতুন বউকে ঘরেও নিয়ে আসে সে। বিয়ে চুপিসারে হলেও ঘটনা প্রেমিকার কানে গিয়ে পৌঁছে যায়। সে আর চুপ থাকে না। নালিশ করে পুলিশকে।
পুলিশ প্রেমিকার নালিশ পেয়ে তৎক্ষনাৎ সাজুকে ধরে আনে থানায়। সাজুর কিছুই করার ছিল না। নতুন বউকে ঘরে রেখে সাজুকে বাধ্য হয়েই থানায় রাত কাটাতে হয়।
এদিকে, গ্রামের সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ ঘটনাটির একটি সুন্দর সমাধান টানার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। তারা দুই পক্ষের মধ্যে একের পর এক কথা চালাচালি করে সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। রবিবার রাত পর্যন্ত সমাধান হয়নি। সাজু থানা হাজত থেকে বেরুনোর অপেক্ষা করছে। নতুন বউ ঘরে বসে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছে। আর প্রেমিকা সাজুকে বাসর করতে না দিয়ে খুশি কিনা তা জানা যায়নি।